পাবনার ভাঙ্গুড়ায় পুলিশের প্রচেষ্টায় হারিয়ে যাওয়া ৮ বছর বয়সী শিশু ফাতেমা আক্তারকে ফিরে পেয়েছে তার বাবা-মা। নিখোঁজের চার দিন পর সন্তানকে ফিরে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা তারা। ফাতেমা গাজীপুর সদর আহসান উল্লাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী ও গাজীপুর জেলার সদর থানার সিংড়াতলী গ্রামের মো: ফরিদ মোল্লা এবং মদিনা আক্তার দম্পতির মেয়ে।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: রাশিদুল ইসলামের উপস্থিতিতে এসআই মো: মোরাদ হোসেন শিশু ফাতেমাকে তার বাবা ফরিদ মোল্লা ও মা মদিনা আক্তারের হাতে তুলে দেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪ টার দিকে উপজেলার হাজী গয়েজ উদ্দিন ফাজিল মহিলা মাদ্রাসার সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন অধ্যক্ষ মো: মাইনুল ইসলাম। এ সময় মাদ্রাসার গেটের সামনে একা দাঁড়িয়ে কান্নাকাটি করছিল ৮ বছর বয়সি ফাতেমা আক্তার। ফাতেমাকে কান্না করতে দেখে থানায় খবর দেন তিনি। খবর পেয়ে এসআই মো: মোরাদ হোসেন তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এসময় ফাতেমা তার নিজের নাম এবং স্কুলের নাম ছাড়া কিছুই বলতে পারছিল না।
এসআই মো: মোরাদ হোসেন জানান, গত চারদিন আগে ফাতেমা তার খালার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। সেখান থেকে ভুল করে ট্রেনযোগে বড়াল ব্রীজ রেলস্টেশনে এসে নামে। ফাতেমাকে উদ্ধারের পর বিষয়টি ওসির মাধ্যমে পাবনা জেলার পুলিশ সুপার জনাব মো: আকবর আলী মুন্সিকে অবহিত করি। পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় শিশুটির স্কুলের ঠিকানা সংগ্রহ করে সেখান থেকে তার পরিবারের সন্ধান পাই।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, শিশুটির বাবা-মা কে খবর দিলে তারা বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে থানায় আসে এবং দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে শিশু ফাতেমাকে তার বাবা ফরিদ মোল্লা ও মা মদিনা আক্তারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।