ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলায় শীর্ষে সরকারি হরগঙ্গা কলেজ

জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলায় শীর্ষে সরকারি হরগঙ্গা কলেজ

মুন্সীগঞ্জের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সরকারি হরগঙ্গা কলেজ। ইতিহাস এতিহ্য আর শিক্ষার্থীদের সাফল্যের এক সুনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে মাঝে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলে অনেকটা পিছিয়ে পরা প্রতিষ্ঠানটি গত ৫ বছরে যেন আবারো ঘুরে দাড়াচ্ছে স্বগৌরবে। এ বছর জেলার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পরিক্ষার্থী ও জিপিএ-৫ পেয়েছে এ কলেজ থেকে। ২০১৮ সালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির যেখানে এইএসএসসিতে পাসের হার ছিল ৬০ দশমিক ৯২ ভাগ। পাঁচ বছরের মাথায় বুধবার প্রকাশিত সর্বশেষ ২০২২ সালের এইএচএসি পরিক্ষায় উত্তীর্ণের হার ২৭ দশমিক ৮৭ বেড়ে দাড়িয়েছে ৮৮ দশমিক ৭৯ শতাংশে। উত্তীর্ণের পাশাপাশি ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যায়। ২০১৮ সালের ৭ জন মাত্র জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি থেকে এবছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫৭জন।কলেজ সূত্রে জানাযায়, ২০১৮সালে পরিক্ষাথী ছিলো ১৫শ ৭৯। সেবছর পাস করেছে ৯৬২ জন পাসের হার ছিলো ৬০দশমিক ৯২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পায় মাত্র ৭জন শিক্ষার্থী। পরের বছর ২০১৯ সালে ১৭শ ৮৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৩শ ১৮ জন উত্তীর্ণ হয়। পাসের হার ছিলো ৭৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পায় ১৯ জন শিক্ষার্থী। ২০২০ সালে করোনাকালিন সময় জাতীয় ভাবে সবাইকে অটো-উত্তীর্ণ দেওয়া হয়। ২০২১ সালে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরিক্ষায় অংশ নেয় ১৫শ ৬২জন শিক্ষার্থী। উত্তীণ হয় ১৪শ ৮৩জন। অর্থাৎ পাসের হার বেড়ে দাড়ায় ৯৪ দশমিক ৯৪শতাংশে। সেবছর জিপিএ-৫পায় ১৪১ জন।

সর্বশেষ ২০২২ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষায় কলজে থেকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসা শাখার মোট ১৬০৫ জন পরিক্ষায় অংশগ্রহন করেন। এরমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে-১৪২৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন মোট ১৫৭। পরিক্ষায় অংশগ্রহনকারী মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৪১ উত্তীর্ন ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯১জন। ব্যবসাশিক্ষা শাখায় উত্তীর্ণ ৪৬৯জন উত্তীর্ণ জিপিএ-৫ পেয়েছে-১৬জন। বিজ্ঞান শাখায় ৩১৫ জন উত্তীর্ণ জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৯ জন।শিক্ষার্থীদের এমন সাফল্যের জন্য কারন হিসাবে কলেজে শিক্ষাকার্যক্রম ও পাঠদানের মান উন্নয়ন সহ শিক্ষকদের নানামুখী পদক্ষেপ বলে মনে করছে অভিভাবকরা।

এবিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আব্দুল হাই তালুকদার জানান, ২০১৮ সালে আমি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করি। পূর্বে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছিলাম সেখানে পাসের হার ছিলো শতভাগ। ২০১৮ সালে পরিক্ষায় পাসের হার আমার সন্তোষজনক ছিলো না। ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির পাসের হার এতো কম, সাথে সাথেই শিক্ষকদের নিয়ে মিটিং করা হয়। সকল শিক্ষার্থীদের নথি উপাত্ত বের করা হয়। শিক্ষার্থীদের কোন কোন বিষয়ে সমস্যা তা চিহ্নিত করে দায়বদ্ধতা নির্ধারণ করি। হয় আমাদের ব্যার্থতা না হয় শিক্ষার্থীরা পড়ায় মনযোগী নয়। যদি আমাদের ব্যার্থতা থাকে তবে সেটি আমাদের ঘোচাতে হবে, শিক্ষার্থীদের অবহেলা থাকলে তাদের সচেতন করতে হবে। এই পদক্ষেপ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, একবারেতো শতভাগ পাস হবেনা, তাই পর্যায়ক্রমে ফলাফলের ক্রম উন্নতির লক্ষ্য নিয়ে আগানো হয়। সেই ক্রম উন্নতিই এখন করা সম্ভব হয়েছে। এখন পাসের হার, জিপিএ-৫ দুটিই বেড়েছে। কলেজের অবকাঠামোরও উন্নয়ন করা হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার মান ও অবকাঠামোর সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। দুইটিই এগিয়ে চলছে।

মুন্সীগঞ্জ,জিপিএ-৫,হরগঙ্গা কলেজ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত