ফেনীর সোনাগাজীতে বিয়ের প্রলোভনে ১৭ বছরের এক তরুণীকে ৬ মাস ধরে ধর্ষণ করেছে মো. কামাল উদ্দিন নামে দুই সন্তানের এক জনক। সে উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের পূর্ব চরচান্দিয়া গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে। ধর্ষণের বিচার চাওয়ায় তরুণীর পিতাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় তরুণীর মা বাদী হয়ে ফেনীর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ বুর্যো অব ইনভিস্টিগেশন (পিবিআই'র) পুলিশ সুপারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন। বর্তমানে প্রভাবশালী আসামিদের অব্যাহত হুমকিতে ওই তরুণীর পরিবার আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
ওই তরুণীর পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, আবদুল খালেকের ছেলে মো. কামাল উদ্দিন একই গ্রামের ওই তরুণীকে বাড়ি-গাড়ি করে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘ ছয় মাস ধরে ধর্ষণ করে আসছে। এক পর্যায়ে সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে তরুণীর পিতা স্থানীয়দের কাছে বিচার দাবি করেন। এতে কামালের পরিবারের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। গত ২৯ জানুয়ারি রাত সাড়ে আটটার দিকে পূর্ব চরচান্দিয়া গ্রামের জনৈক কিরণের দোকানের সামনে থেকে ডেকে নিয়ে ওই তরুণীর পিতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেন। স্থানীয়রা তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় ওই তরুণীর পরিবার থানায় মামলা করতে সাহস পাননি। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তরুণীর মা বাদী হয়ে মো.কামাল উদ্দিন, তার পিতা আবদুল খালেক, ভাই মো. রাসেল আমিন, মো. মামুন, চাচাতো ভাই পিয়াস ও রাজিবসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আসামিদের অব্যাহত হুমকির মুখে ওই তরুণীর দিনমজুর পিতা সপরিবারে একাধিক আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে পালিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এক আত্মীয়র বাড়িতে অনেকটা গোপনে ওই তরুণী ও তার পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়ে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও জীবনের নিরাপত্তার দাবি করেন।