কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়ায় বিএনপির কথিত পদযাত্রার নামে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে শান্তি সমাবেশের মাধ্যমে দিনভর মাঠে তৎপর ছিলেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম এমএ।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে রাত অবদি চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের প্রত্যেক ইউনিয়নে ব্যাপক তৎপরতা চালান তিনি। এতে ইউনিয়নগুলোতে পদযাত্রার নামে কোথাও বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঠে নামতে দেখা যায়নি।
এমপি জাফর আলম খুব ভোরে ছুটে যান চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক হয়ে সীমান্ত ইউনিয়ন খুটাখালীতে। সেখানে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে শান্তি সমাবেশ করেন। এ সময় খুটাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন। এর পর ডুলাহাজারা, ফাঁসিয়াখালী, কাকারা, কৈয়ারবিল, বরইতলী ও হারবাংয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শান্তি সমাবেশ করাসহ বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেন এমপি জাফর আলম। এর পর তিনি যান কোনাখালী, ঢেমুশিয়া, বিএমচর, পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নে। সেখানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শান্তি সমাবেশে যোগ দেন। এর পর উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নেও সশরীরে গিয়ে এমপি জাফর আলম দলীয় নেতাকর্মীদের এলাকায় এলাকায় সতর্ক পাহারায় থাকতে নির্দেশনা দেন।
এমপির ব্যক্তিগত সহকারি আমিন চৌধুরী জানান- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়ভাবে ঘোষিত সারাদেশের ন্যায় চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে শনিবার ভোর থেকে দিনভর সজাগ ও সতর্ক পাহারায় রাখেন এমপি জাফর আলম। আর প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে সরজমিন শান্তি সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচী প্রত্যক্ষ করেন। এতে উপজেলার কোথাও বিএনপি পদযাত্রার নামে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত করতে পারেনি।
ব্যক্তিগত সহকারি আমিন চৌধুরী আরো জানান- ইউনিয়নে ইউনিয়নে দলীয় কর্মসূচী পালনের ফাঁকে এমপি জাফর আলম যোগ দেন চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের বার্ষিক ক্রিড়ানুষ্ঠানে এবং পহরচাঁদা উচ্চ বিদ্যালয়ের চারতলা একাডেমিক ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। এতে হাজারো শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহবান জানান এমপি জাফর আলম। একইসাথে পেকুয়া উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে নির্দেশনা দেন এমপি।
দিনভর মাঠে তৎপর থাকা এমপি জাফর আলমের সঙ্গে ছিলেন চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন আলমগীর চৌধুরীসহ সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ।