টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-জামালপুর রেললাইনের রেলক্রসিংয়ে লোহার বেরিয়ারের বদলে বাঁশ ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে ট্রেন দুর্ঘটনার শঙ্কাসহ আতঙ্কে রয়েছে যানবাহন এবং চলাচলকারীরা। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-ভূঞাপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ছাব্বিশা এলাকায় টি-২০ রেলক্রসিংয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় তিন মাস আগে বালুবাহী ড্রামট্রাকের ধাক্কায় লোহার বেরিয়ারটি ভেঙে যায়। কিছুদিন ওই অবস্থায় পড়ে থাকে। এরপর জোড়াতালি দিয়ে বেরিয়ারটি মেরামত করা হলেও তা কাজে আসেনি। কিছুদিন লাল কাপড়ের পতাকা উড়িয়ে ট্রেনের যাতায়াতকালে যানবাহন ও লোকজনকে চলাচলে সর্তক করা হয়েছে।
তবে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে নিমার্ণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ের কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন কর্মকর্তা, সেতুর কাজে ব্যবহৃত গাড়ি, সেতুপূর্ব রেলস্টেশনে প্রতিদিন শতশত বাস-ট্রাক সিএনজি, অটোরিকশা ও অটোভ্যানসহ নানা ধরণের অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। বেরিয়ারটি পরিবর্তন না করায় যেকোন সময় দুর্ঘটনার শঙ্কা করছেন তারা।
স্থানীয় সিএনজি চালক সেফাত, মাইনুলসহ একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ, আমাদের প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। কয়েক মাস যাবৎ রেলক্রসিংয়ের লোহার বেরিয়ারটি অকেজো হয়ে রয়েছে। ট্রেন কখন আসে তা এখন বুঝতে পারি না। ট্রেন দুর্ঘটনার শঙ্কা নিয়ে প্রতিদিন আমাদেরকে রেললাইন পারাপার হতে হচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়াতে বেরিয়ারটি দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।
টি-২০ এর দায়িত্বরত গেটম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, কয়েক মাস আগে বালুবাহী ড্রামট্রাকের ধাক্কায় বেরিয়ারটি ভেঙে যায়। পরে জোড়াতালি দেয়া হলেও সেটি কোন কাজে আসেনি। এটি পরিবর্তনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দপ্তরে জানানো হলেও বেরিয়ারটি মেরামত হয়নি। তাই মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে বাঁশের বেরিয়ার ব্যবহার করা হচ্ছে।
ভূঞাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাষ্টার আব্দুল কাদের জানান, ছাব্বিশার টি-২০ ট্রাফিক রেলক্রসিংয়ে লোহার বেরিয়ারটি কয়েক মাস ধরে অকেজো। এটি পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হলেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। মাসখানেক আগে নিজ উদ্যোগে বেরিয়ারটি মেরামত করা হলেও তা আবার অকেজো হয়ে গেছে।
ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন জানান, ভূঞাপুরের ছাব্বিশা এলাকায় অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকা লোহার বেরিয়ারটির বিষয়ে অবগত ছিলাম না। বিষয়টি রেলওয়ের আওতাধীন হলেও যানবাহন চলাচল ও জনস্বার্থে সরেজমিনে দেখে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবগত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।