ময়মনসিংহে মাজারের টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি স্থানীয়দের
প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০:০০ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ ব্যুরো
ময়মনসিংহে শাহ সূফি হযরত আয়েত আলী (র:) এর মাজারের টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে। আগামী ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি এই মাজারের ১০৪তম বার্ষিক ওরসকে কেন্দ্র করে দু’টি পক্ষের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনায় সংঘাতের আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
এই অবস্থায় শান্তি শৃংখলা রক্ষার স্বার্থে সকল ধর্ম বর্ণের কাছে পবিত্র এই মাজারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণের দ্বায়িত্বে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে চায় এলাকার বাসিন্দারা।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি রেঞ্জ ডিআইজি ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিতভাবে এলাকাবাসির পক্ষে এই আবেদন জানান স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা হযরত আলী, সদর উপজেলা স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক মো: হাসান আলী ও অবসরপ্রাপ্ত বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা মো: নূরুল আমিন।
আবেদনে তারা বলেন, ১০৪ বছর ধরে চলমান এই মাজারটি গত ৪০ বছর ধরে স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী চক্র দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এর নেতৃত্বে রয়েছেন ভূমিদস্যু ও মানবতা বিরোধী মামলার আসামি রফিকুল ইসলাম, হত্যা মামলার আসামি আ: সালাম ও সরকার বিরোধী আন্দোলনে গাড়ী পুড়ানো মামলার আসামি আ: মজিদ। তারা মাজারের দানকৃত অর্থ ও মান্নতের টাকা নিজেরা ভাগ-বাটোয়ারা করে ভোগ তছরূপ করে আসছে। তাদের এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও ভুয়া অভিযোগ করে হয়রানি করে আসছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
অধ্যাপক মো: হাসান আলী জানান, ২০১০ সালের নভেম্বর থেকে ২০১১ সালের জুন মাস পর্যন্ত এই মাজারটির দ্বায়িত্বে ছিলেন স্থানীয় চেয়ারম্যান মানিক মিয়া। এই আট মাসে মাজারের আয় হয় প্রায় দশ লক্ষ টাকা। কিন্তু এরপর থেকে এই মাজারের টাকার কোন হিসাব নেই। এই অবস্থায় আগামী ওরসের আগেই মাজারটি সরকারিভাবে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া অতি জরুরী।
বীরমুক্তিযোদ্ধা হযরত আলী বলেন, মাজারের পুকুরটি সরকারের সম্পত্তি। বর্তমানে মাজার সংশ্লিষ্ট চক্রটি ওই সরকারি সম্পত্তি জবরদখলে করে রেখেছে। এটি দখল মুক্ত করা সরকারি দ্বায়িত্ব।
তবে মাজারের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারন সম্পাদক মো: রফিকুল ইসলাম দাবি করেন, মাজারের আয়ের টাকা গঠনতন্ত্র মেনে ব্যায় হচ্ছে। কিন্তু একটি মহল এনিয়ে অপপ্রচার করছে।
এছাড়াও মাজারের পুকুরটি নিয়ে বর্তমানে সরকারের সাথে সুপ্রীম কোর্টে মামলা চলমান আছে বলেও দাবি করেন তিনি আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলা স্বাক্ষ্য প্রমাণে শেষ হয়ে গেছে।
এবিষয়ে জানতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।