ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নীলফামারীতে এক সড়কে ৯ বাঁক, মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে পথচারীদের

নীলফামারীতে এক সড়কে ৯ বাঁক, মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে পথচারীদের

নীলফামারী জেলা সদরের কালিতলা থেকে পুলিশ লাইন পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য রাস্তাটি বাইপাস নয়, মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে পথচারীদের। রাস্তাটিতে রয়েছে ৯টি চরম বাঁকা বাক এবং আঁকাবাঁকা হয়ে চলে গেছে পুলিশ লাইন দিয়ে ডোমার সড়কে। গত তিন বছর আগে সড়ক ও জনপদ বিভাগের অর্থায়নে ২৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, কালিতলা থেকে পুলিশ লাইন পর্যন্ত ৯টি মোড়ের দুই ধারে রয়েছে দোকান ও বসতবাড়ী। সড়কে মাত্র কয়েকটি দূরপাল্লার বাস, ট্রাক, নাইটকোচ যানবাহন চলাচল করে, তারপরও প্রতিনিয়ত অনেক ছোট বড় দূর্ঘটনা ঘটে এই সড়কে। সড়কটি গত বছরের ডিসেম্বরে উদ্ধোধন করা হলেও আঁকাবাঁকা পথ হওয়ায় বাইপাস রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করছে না কোন ভারী যানবাহন। আর এতে করে শহরের মাঝ দিয়ে চলছে ভারী যানবাহনসহ সকল গাড়ী। প্রায় চব্বিশ কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি মুখ থুবড়ে পড়েছে।

জেলা শহরের ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান জুয়েল বলেন, সৈয়দপুর থেকে কালিতলা হয়ে ডোমার জলঢাকা বাইপাস সড়কটি চালু হলে এই শহরটি যানজটমুক্ত হবে। বিশেষ করে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা এবং সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত্রি ১১টা পর্যন্ত ঢাকাগামি ডে এবং নাইট কোচ বিআরটিসিসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচলে সড়কটি ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এই সময় রোগীর এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস ও জরুরী কাজের গাড়ীগুলো শহরের মাঝপথে আটকা পড়ে যায়।

জেলা শহরের ব্যবসায়ী আমির আলী বলেন, এমনিতেই এই জেলা শহরটি এক সড়কের। শহরের প্রধান একটি মাত্র রাস্তা দিয়ে আমাদের চলাফেরা করতে হয়। এছাড়াও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, মুমূর্ষু রোগী এবং উত্তরা ইপিজেডের হাজার হাজার চাকুরিজীবি ও বাস ট্রাক একই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। এতে প্রায় অনেক বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাই বাইপাস সড়কের ৯টি আঁকাবাঁকা রাস্তা সোজা করে জরুরী চালু করা প্রয়োজন। বেশি করে কালিতলা থেকে পাঁচ মাথা হয়ে বাদিয়ার মোড়, দেওয়ান পেট্রোল পাম্প, মায়ার মোড়, বড়দিঘীর মোড়, শিমুল তলী হয়ে ফোরফোরার মোড়, পুলিশ লাইন মোড় রাস্তা প্রশস্তকরণ করে বাইপাস রাস্তাটি চালু হলে দূরপাল্লার যানবাহনসহ হাজার হাজার পথচারী দুভোর্গ থেকে মুক্তি পাবে।

জেলা শহরের শাকামাছা হাটের ময়নুল পরিবহনের কোচের মালিক মো.ময়নুল হোসেন বলেন, আমরাও চাই শহরটি যানজটমুক্ত হউক। কিন্তু বাইপাস সড়কের যতগুলো বাঁক পার হতে হয় এতে বড় গাড়ীর যাতায়াত কোন মতেই সম্ভব না। তাই দ্রুত সড়কটি সোজা ও প্রশস্ত করার আহ্বান জানাই।

নীলফামারী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান, ৭ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার সড়কে বড় বাঁক রয়েছে ৬টি আর ছোট বাঁক রয়েছে বেশকিছু। এটি সোজা করার কাজ প্রক্রিয়াধীন। বাইপাশ সড়কটি চালু বা সোজা করতে গেলে প্রায় ৮ দশমিক ৯ একর জমির প্রয়োজন। তবে সড়কটি পূর্ণদৈর্ঘে ২৪ ফিট প্রশস্ত করতে গেলে ভূমির প্রয়োজন হবে প্রায় ২৮ একর। এটি নিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় এমপি মহোদয়ের সাথে কথা চলছে। আশা করি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে। এটি চালু হলে মূল শহর যানজটমুক্ত হবে।

বাঁকা,বাক,মরণ ফাঁদ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত