পটিয়া পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ড এলাকায় যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে । গত ৬ ফেব্রুয়ারি পিটিয়ে গৃহবধু বেবী আকতার (৩৬) নামের এক গৃহবধূকে আহত করা হয়। পরে ১৩ ফেব্রুয়ারী চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেবী আকতার মারা যান। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) নিহতের ভাই খোরশেদ আলম বাদী হয়ে পটিয়া থানায় একটি মামলায় দায়ের করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন, স্বামী ওয়াহিদুল আলম (৪২), শাশুড়ি দিলু আরা বেগম (৫৯), দেবর মোহাম্মদ রুবেল (২৬), মোহাম্মদ সোহেল (৩১) ও ননদ পুষ্পা আকতার (২১)। তারা পটিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডস্থ লাল মিয়া মাস্টারের বাড়ির বাসিন্দা মৃত জাফর আহমদের পুত্র, কন্যা ও স্ত্রী। গৃহবধূ উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের পূর্ব হাইদগাঁওস্থ আমির বাড়ির বাসিন্দা লোকমান হাকিমের কন্যা। মোহাম্মদ সোহেল (৩১)কে গ্রেপ্তার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানাযায়, বেবী আকতারের সাথে ১৪ বছর আগে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের সংসারে প্রায়শ বিবাদ ঘটত। সবশেষ গত ৬ ফ্রেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০ টায় যৌতুকের জন্য স্বামী, ননদ, দেবর ও শাশুড়ি মারধর করেন। খবর পেয়ে গৃহবধূর পরিবারের লোকজন গৃহবধূকে উদ্ধার করে পটিয়া হাসপাতাল ও পরে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৩ ফ্রেব্রুয়ারি তিনি মারা যান। এরপর সেখানে ময়না তদন্ত শেষে নিহতের ভাই খোরশেদ আলম বাদি হয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার পটিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পটিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রেজাউল করিম মজুমদার জানান, মামলা দায়েরের পর পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করে। অন্যরা ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
