উখিয়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক রোহিঙ্গা নারী নিহত, আহত ২
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:১২ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুষ্কৃতিকারীদের পৃথক হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক রোহিঙ্গা নারী নিহত এবং রোহিঙ্গা কমিউনিটির এক নেতাসহ দুইজন আহত হয়েছেন।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ৮-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৫৭ ব্লক এবং ময়নারঘোনা ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি-১ ব্লকে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত নুর কায়েস (২৫) উখিয়ার বালুখালী ৮-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৫৭ ব্লকের বাসিন্দা মো. নজুমউদ্দিনের স্ত্রী।
আহত মো. আব্দুর রহিম (৩৮) উখিয়ার ময়নারঘোনা ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি-১ ব্লকের বাসিন্দা এবং আরাফাত হোসেন বালুখালী ৮-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৫৭ ব্লকের বাসিন্দা। এদের মধ্যে মো. আব্দুর রহিম ময়নারঘোনা ১২ ক্যাম্পের প্রধান কমিউনিটি নেতা (হেড মাঝি)।
স্থানীয়দের বরাতে শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌণে ১০ টায় নুর কায়েস নিজের বসত ঘরে অবস্থান করছিলেন। এসময় আকস্মিক একদল অজ্ঞাত দূর্বৃত্তের ছোড়া এলোপাতাড়ী গুলিতে দুইজন আহত হন। পরে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে আসে। এসময় হাসপাতালটির কর্তব্যরত চিকিৎসক নুর কায়েসকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি।
তিনি জানান, গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত আরাফাত হোসেন এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টায় উখিয়ার ময়নারঘোনা ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মুখোশ পরিহিত একদল অজ্ঞাত দূর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে মো. আব্দুর রহিম নামের রোহিঙ্গা কমিউনিটির এক নেতা আহত হয়েছে বলে জানান শেখ মোহাম্মদ আলী।
ওসি বলেন, বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উখিয়ার ময়নারঘোনা ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি-১ ব্লকে নিজের বসত ঘরের অদূরে অবস্থান করছিলেন মো. আব্দুর রহিমসহ কয়েকজন রোহিঙ্গা। এক পর্যায়ে ৪/৫ জন মুখোশ পরিহিত দুষ্কৃতিকারী তার মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে তিনি আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে আসে। এসময় তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে তাকে রেফার্ড করেন।