রিখটার স্কেলে সাত মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকায় ধ্বসে পড়বে কয়েক হাজার ভবন, মৃত্যু হবে অন্তত দুই থেকে তিন লাখ মানুষের। সে তুলনায় বাংলাদেশের উদ্ধার প্রস্তুতি একেবারেই নগণ্য। ইন্টারন্যাশনাল সার্চ এন্ড রেসকিউ এ্যাডভাইজারী গ্রুপ আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের কর্মশালায় এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাভারের ব্র্যাক সিডিএমে ইউএনডিপি আয়োজিত কর্মশালায় অংশ নেন সরকারের নীতি নির্ধারক, সেনাবাহিনী ও উদ্ধারকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক জেনারেল মাইন উদ্দিন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন, ইউএনডিপির অ্যাসিস্ট্যান্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ প্রসেনজিৎ চাকমা প্রমুখ।
২০০৯ সালের এক গবেষণার কথা উল্লেখ করে কর্মশালায় বলা হয়, সেই সময় উচ্চমাত্রার ভূমিকম্পে রাজধানীর ৭২ হাজার ভবন ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা ছিল। এতদিনে যা বেড়েছে বহুগুণে। বাংলাদেশ বরাবর উচ্চ ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে কারণ, সিলেটের জৈন্তা এলাকার ডাউকি ফল্টের ফলে ইতিমধ্যে ছয় মিটার বিচ্যুতি হয়েছে। আর সেই ঝুঁকিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে নিয়ম বহির্ভূতভাবে যত্রতত্র ভবন নির্মাণ।