তুরস্কের পাশে সহায়তা নিয়ে নোবিপ্রবি পরিবার

ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কের দক্ষিনাঞ্চলে সৃষ্ট মানবিক সংকটে সাহায্যের হাত নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.মোঃ দিদার-উল-আলমের নির্দেশনা মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করে তুরস্কের তীব্র শীতে ব্যবহার উপযোগী সামগ্রী ক্রয় করে ঢাকাস্থ তুর্কী দূতাবাসের অধীনে টার্কিশ কো-অপারেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন এজেন্সি (TIKA) এর কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নোবিপ্রবি প্রক্টর ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড.নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর এবং ভাইস চ্যান্সেলর এর একান্ত সচিব আবু জুবায়ের এ সহায়তা সামগ্রী হস্তান্তর করেন।  

এছাড়াও ভূমিকম্পে নিহত ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মুস্তাফা ওসমান তুরান এর কাছে একটি শোক বার্তা পাঠিয়েছেন নোবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড.মোঃ দিদার-উল-আলম। শোকবার্তায় উপাচার্য ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন এবং দ্রুততার সাথে এ দূর্যোগ কাটিয়ে ওঠার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে তুরস্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে নোবিপ্রবির চলমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও দৃঢ় হবে বলে শোকবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে, তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্প দুর্গত এলাকায় পাঠানোর জন্য নোয়াখালী বিজ্ঞান ও  প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রদানকৃত সহায়তা ও তুরস্কের সরকারি সংস্থা টার্কিশ কো-অপারেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন এজেন্সি (TIKA) এর ঢাকাস্থ কার্যালয়ের চাহিদা অনুযায়ী তালিকাভূক্ত সামগ্রী নোবিপ্রবি ইন্টারন্যশনাল কোলাবরেশন অফিসের তত্ত্বাবধানে পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মানবিক এ সহায়তার মধ্যে রয়েছে শীতের জামা কাপড় ও চিকিৎসা সামগ্রী। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আরেকধাপে এ ধরণের সহায়তা দেওয়ারও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে নোবিপ্রবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এর আগে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে সৃষ্ট বিপর্যয় ও নাগরিকদের মৃত্যুতে বাংলাদেশে ৯ ফেব্রুয়ারি একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হয়। এদিন নোবিপ্রবিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়, কালো পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এতে ব্যাপক ধ্বংশযজ্ঞ ও জানমালের অশেষ ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।