হালুয়াঘাটে কুল চাষে মামা-ভাগ্নের ভাগ্যবদল
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:১৭ | অনলাইন সংস্করণ
দেওয়ান নাঈম, হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ইউটিউব দেখে কুল চাষ করে ভাগ্যবদল হয়েছে মামা-ভাগ্নের। ইউটিউবের মাধ্যমে মেহেরপুর জেলার তরুণ উদ্যোক্তা নাসির শাহের বাগান দেখে কুল চাষে আগ্রহী হন জামাল উদ্দিন। কিন্তু বুঝে উঠতে পারছিলেন না কীভাবে শুরু করবেন। কুল চাষের জন্য যে জমি প্রয়োজন সেটা ছিল না তার। বিষয়টি নিয়ে জামাল উদ্দিন তার ভাগ্নে ইলিয়াস হোসেনের সঙ্গে কথা বললে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন।পরে উপজেলার বেতকুড়ি গ্রামে ১৫ বিঘা জমি লিজ নিয়ে মামা-ভাগ্নে শুরু করেন কুল চাষ। পাশাপাশি এতে যুক্ত করেন উন্নত জাতের পেয়ারা ও লেবু। রোপণের নয় মাসের মধ্যেই প্রথমবারের মতো তাদের গাছে ঝাঁকে ঝাঁকে কুল ধরেছে।
তাদের বাগানে রয়েছে বল সুন্দরী, কাশ্মীরি, ভারত সুন্দরী, আপেল কুল, বাউ কুল ও টক মিষ্টি কুল। এছাড়া কুলের পাশাপাশি উন্নত জাতের মাল্টা, পেয়ারা ও সিডলেস লেবুর গাছ রয়েছে। বাগানের পাশেই উন্নতমানের কলম চারা গাছ তৈরি করছেন। মামা-ভাগ্নে বাগানের নাম রেখেছেন থ্রি-স্টার নার্সারি। বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ থ্রি-স্টার নার্সারি দেখতে আসছেন।
এ বিষয়ে প্রকল্পের প্রধান উদ্যোক্তা জামাল উদ্দিন বলেন, পরিকল্পনা মাফিক চেষ্টায় ও পরিশ্রমে সফল হওয়া যায় এবং ভাগ্যবদল হয় সেটার বড় প্রমাণ আমি নিজেই। ইউটিউবে কুল চাষের ভিডিও দেখেই আমি এ কাজে অনুপ্রাণিত হয়েছি। সঠিক পরিচর্যার কারণে চারা রোপণের নয় মাসের মধ্যেই প্রত্যেকটি গাছ এখন কুলে পরিপূর্ণ। প্রায় ১৭ থেকে ১৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ বছরই খরচ উঠে প্রায় ৩ লাখ টাকা লাভ হবে।
উদ্যোক্তা নবী হোসেন বলেন, আমি একটি বেসরকারি স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছি। শিক্ষকতার ফাঁকে আমি এ কাজে নিয়োজিত। আমাদের চাষকৃত কুল ও বিভিন্ন জাতের পেয়ারা, লেবু, মাল্টা খুবই উন্নত ও নতুন জাতের। এতে ফলন অনেক বেশি। আমরা কুল চাষের পাশাপাশি নার্সারির মাধ্যমে চারা তৈরি করছি।