মানিকগঞ্জে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে জেলা শ্রমিক লীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসা উপস্থিত সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা আতঙ্কিত হয়ে শহীদ মিনার এলাকা ত্যাগ করেন।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৯ টার দিকে শহরের সরকারি উচ্চবিদ্যালয় (বিজয় মেলা) মাঠে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে জেলা শ্রমিক লীগের দুই পক্ষ। এতে পক্ষ নিয়ে যোগ দেয় যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা।
জানা যায়, জেলা শ্রমিক লীগের মধ্যে দুটি পক্ষ রয়েছে। এক পক্ষের নেতৃত্বে আছেন বাবুল সরকার এবং অন্য পক্ষে আছেন আবদুল জলিল। আজ সকাল ৯টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে জেলা শহরের সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থিত শহীদ মিনারে যান। সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের পর একে একে জেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানায়। এ সময় শ্রমিক লীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা আলাদা ব্যানারে ফুল দেওয়ার জন্য শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নেন।
পরে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল ফুল দেওয়ার জন্য জেলা শ্রমিক লীগের একাংশের নেতা আবদুল জলিলের নাম মাইকে ঘোষণা করেন। এ সময় জেলা শ্রমিক লীগের আরেক অংশের নেতা বাবুল সরকারের অনুসারীরা প্রতিবাদ করেন। তখন শ্রমিক লীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বাঁশের লাঠি নিয়ে নেতা-কর্মীরা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু করেন। জেলা যুবলীগের নেতা-কর্মীরা শ্রমিক লীগ নেতা জলিলের পক্ষে এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা বাবুল সরকারের পক্ষ হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ ঘটনায় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আহসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা সানজিদ কাজল ও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা জসিম উদ্দিনসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে জলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মানে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল থাকে তারা শহীদ মিনারে এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারেনা।