পটুয়াখালীর কুয়াকাটার খাজুরা এলাকায় নিজ ঘর থেকে তানিয়া নামের দশম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে তানিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে মহিপুর থানার ওসি খন্দকার আবুল খায়ের জানান, পোষ্টমর্টেমের জন্য তানিয়ার লাশ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মৃত তানিয়া কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী এবং খাজুরা এলাকার মো: কবির হোসেনের মেয়ে।
তানিয়ার বাবার বরাদ দিয়ে মহিপুর থানার ওসি খন্দকার আবুল খায়ের জানান, সোমবার ঘটনার প্রায় আধা ঘন্টা আগে টেবিলে পড়তে বসা নিয়ে তানিয়ার সাথে তার খালাত বোন সুরাইয়ার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সুরাইয়ার মা (তানিয়ার খালা) সাহিদা বেগম উত্তেজিত হয়ে তানিয়াকে একটি থাপ্পড় মারে। এরপর তানিয়া কান্না কাটি করতে থাকলে তার খালা সাহিদা বেগম ঘর থেকে বের হয়ে বাড়ীর সন্নিকটে ‘আচল’ নামের প্রতিষ্ঠানে চলে যায় (আচল নামের ওই প্রতিষ্ঠানে সাহিদা কর্মরত)। দুপুর পৌনে একটার দিকে বাড়ীর অন্য লোকজন তানিয়াকে খুজতে ডাকাডাকি করলে তার ঘরের দরজা বন্ধ পায়। এখবর পেয়ে সেই প্রতিষ্ঠান থেকে সাহিদাও বাড়ীতে চলে আসে এবং সবাই মিলে দরজা ভেঙ্গে তানিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে সেখান থেকে লাশ নামিয়ে কুয়াকাটা ২০শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ মুমশাদ সায়েম পুনম তানিয়াকে মৃত ঘোষনা করেন।
ওসি আরো জানান, আমাদেরকে খবর দেয়া হলে আমরা হাসপাতালে এসে তানিয়ার লাশ দেখতে পেয়ে চিকিৎসকের সাথে আলাপ করে লাশের সুরাতহাল রিপোর্ট তৈরি করে পোষ্টমর্টেমের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দেই।
তিনি জানান, আমরা সবকিছু ভাল ভাবে যাচাই করতেছি। আপাতদৃষ্টিতে প্রাথমিকভাবে এসব তথ্য পাওয়া গেছে তবে এসব তথ্যের কোথাও কোন গড়মিল আছে কিনা তাও আমরা যাচাই করতেছি।