জনগণের কাছে বিচার দিলে বাড়ির ইট থাকবে না : শামীম ওসমান
প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৩, ২০:৪৬ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমি নারায়ণগঞ্জে একটি স্লোগান শুনেছি। ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম, শেখ হাসিনার বাবার নাম’। আমার মনে হয় আমি জাতির পিতার সৈনিক হতে পারিনি। আমার হাত পা বাধা। নাহলে জনগণের কাছে যদি ভালভাবে বিচার দেই জনগণ তাদের কাছে কীভাবে পৌছাবে জানা নেই। আমরা মাফ করে দিয়েছি। আমরাও কিন্তু মানুষ রোবট না। আমাকে সারাক্ষণ শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে গালি দেয়। আমি এগুলো গায়ে মাখি না। ওরা মিথ্যা বলে তাদের জন্য আমার মায়া লাগে। কিন্তু শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপস করতে পারি না। নারায়ণগঞ্জকে শান্ত থাকতে দিন। এমন কোন বক্তব্য দিবেন না, জনগণ কিন্তু ঘরে বসে থাকবে না। জনগণের কাছে বিচার দিলে বাড়ির ইট থাকবে না। কে কার উকিল বাপ আর কে কার উকিল মা দেখার সময় আর নেই। যারা দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করে না, যারা বাংলাদেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে, স্বাধীনতার পক্ষের রাজনীতি করে তাদের সংখ্যা অনেক।
শনিবার (৪ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ ক্রিয়েটিভ গ্রাজুয়েট অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে মুজিব শতবর্ষের স্মরণে স্মারণিকার মোড়ক উন্মোচন ও অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী প্রফেসর ডা. শিরিন বেগম।
শামীম ওসমান বলেন, ওরা মনে করে ওরা বুদ্ধিজীবী। এই বুদ্ধিজীবীদের কাজই হচ্ছে বুদ্ধিদিপ্তি বাংলাদেশকে আটকে দেয়া। আর এ অগ্রসর ঠেকাতে হলে শেখ হাসিনাকে আটকাতে হবে তার দলকে আটকাতে হবে। আর এটা করতে কি করতে হবে মিথ্যা অপপ্রচার ছড়াতে হবে। যার একটা অপপ্রচারের শিকার হচ্ছে এখানে মহিলা লীগের সভানেত্রী শিরিন আপা। উনার নাকি মুক্তিযুদ্ধের সনদ বাতিল করে দেয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সনদ কখন বাতিল করা হয়? যখন কেউ সনদ পায়। উনি তো সনদই পায়নি বাতিল হলো কিভাবে? ধরেন কেউ মেট্রিক পরীক্ষাই দেয়নি তাহলে তার সার্টিফিকেট বাতিলহয় কিভাবে? উনি কোর্টে গেছেন এটা উনার ব্যাপার, সেটা ভিন্ন সাবজেক্ট। এই যে বড় বড় জাতীয় পত্রিকা এসব নিউজ কেন করছেন, কারণ শিরিন আপার মত মানুষরা মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাস করেন এবং মুক্ত চিন্তা করে সমাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। তিনি তো মানুষ গড়ার হাতিয়ার। যোগ্যতা না থাকলে কি তোলারাম কলেজ, মহিলা কলেজ, হরগঙ্গা কলেজ, গাজীপুর কলেজের প্রিন্সিপাল হতে পারেন? তাহলে কাকে খাট করার চেষ্টা করছেন। উনারা আটকাতে চান, উনারা অপপ্রচার করছেন। একই অপপ্রচার দেখেছি ৭৪ সালে।
সামনে দেশে আঘাত আসবে আশংকা করে তিনি বলেন, দেশটাকে একটা আঘাত করা হবে পেছনের দিকে যাবার জন্য। সামনের দিকে নেয়ার জন্য নয়। বাংলাদেশে আগামী ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ জুন থেকে জুলাইয়ের মধ্যে আঘাত আসবে। তারা আবার বাংলাদেশে লাশের রাজত্ব সৃষ্টি করবে এমনকি তাদের দলের বড় বড় জাতীয় নেতাকে প্রয়োজন হলে তারা হত্যা করবে। এগুলো করে তারা ইস্যু সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে কারণ যেভাবেই হোক তারা নির্বাচন বন্ধ করতে চায়। কারণ তারা পারবেনা। শেখ হাসিনার উপর আল্লাহর রহমত আছে আর তাই ২২ বার হত্যার চেষ্টা করেও তারা কিছু করতে পারেনি।