চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা সাত জনে দাঁড়াল। রোববার (৫ মার্চ) রাত ১০টার সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহতের নাম প্রবেশ লাল শর্মা (৫৫)। তিনি সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মতিলাল শর্মার দ্বিতীয় পুত্র । তিনি বিস্ফোরিত সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের অপারেটর ছিলেন।
নিহত প্রবেশ লাল শর্মার ছোট ভাই নয়ন লাল শর্মা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় চমেকে ভর্তি করা হয়। পরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় রোববার (৫ মার্চ) রাতে তার মৃত্যু হয়।
শনিবার (৪ মার্চ) বিকেলে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের পর এখন পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু হলো। নিহত অন্য ছয় জন হলেন- লক্ষ্মীপুরের কমলনগর এলাকার মহিজল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (৩৩), নেত্রকোনার কলমাকান্দা এলাকার খিতিশ রংদীর ছেলে রতন নকরেক (৫০), নোয়াখালীর সুধারাম এলাকার মৃত মকবুল আহমদের ছেলে মো. কাদের মিয়া (৫৮), সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার মৃত বিম রুগার ছেলে সেলিম রিছিল (৩৯), একই এলাকার মৃত ইসমাইলের ছেলে শামসুল আলম (৬৫) এবং সীতাকুণ্ডের জাফরাবাদ এলাকার মৃত আবুল বশরের ছেলে মো. ফরিদ (৩২)।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দুপুরের দিকে সর্বশেষ নিহত সেলিম রিছিলের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। নিহত ছয় জনের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা এবং আহত ১৮ জনকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। রবিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরোও একজন নিহত হওয়ায় তার পরিবারকেও পঁচিশ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হবে । আহত আরও দুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় সহায়তার টাকা দেওয়া যায়নি।