নোয়াখালীতে মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার ১

নোয়াখালীর হাতিয়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া মাদরাসার এক ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে উঠেছে আরিফ উদ্দিন (২২) ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হেজু নামে একজনকে গ্রেফতার  করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সকালে এবিষয়ে হাতিয়া থানায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ৩জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের শরীফ মার্কেটের পাশে পরিত্যাক্ত একটি বাড়িতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

মামলার ১নং আসামী আরিফ উদ্দিন (২২)  হাতিয়া পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষীদিয়া গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে। সহযোগী মো: হারুন (২৮) বুড়িরচর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের কালীরচর গ্রামের মো: হেজু মাঝির ছেলে। আটক অপর সহযোগী অটো রিক্সা চালক মো: হেজু (২৬) বুড়িরচর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের কালীরচর গ্রামের মো: নুরুল আমিরের ছেলে।

মামলার বাদী মাদরাসা ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়ে হাতিয়া দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে। গত বৃহস্পতিবার সকালে সে  মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে  ১ ও ২ নং বিবাদী আরিফ, হারুন মাদ্রাসার সামনে এসে তাকে ফুসলিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে ৩নং বিবাদী হেজুর অটোরিক্সা করে প্রথমে লালচর তারপর কমলার দিঘীর এলাকায় ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যার সময় শরিফ মার্কেটের পাশে পরিত্যাক্ত একটি বাড়ীতে নিয়ে আটক করে।  এসময় হারুন ও হেজুর সহযোগীতায় আরিফ আমার মেয়েকে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

তিনি আরো জানান, পরের দিন সকালে তারা আমার মেয়েকে বুড়িরচরের ধনুমার্কেট আমার মেয়ের বান্ধবীর বাড়ীর সামনে রেখে যায়। তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে বিয়ে করার প্রলোভন দেখায় এবং ধর্ষণের কথা কাউকে বলতে নিষেধ করে। কাউকে জানালে তার অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। পরে মেয়ে বাড়িতে আসলে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে তার মায়ের কাছে ঘটনাটি বলে।তখন আমার স্ত্রী আমাকে বিষয়টি জানালে আমি চট্টগ্রাম থেকে এসে সমাজের সকলকে জানাই, পরে সবার পরামর্শে থানায় মামলা করি।

এ বিষয়ে হাতিয়া থানা কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। মামলার ৩নং আসামী হেজুকে গ্রেফতার  করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারে  অভিযান চলছে। ভিকটিমকে মেডিকেল পরিক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।