সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৬ জনের নামে মামলা
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৩, ১৫:১৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে কারখানার ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (৬ মার্চ) রাতে সীতাকুন্ড থানায় মামলাটি করেন নিহত সাতজনের একজনের স্ত্রী। মামলার আসামিদের নাম পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে সীতাকুন্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, সীতাকুন্ডে সীমা অক্সিজেন লিমিটেড কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে কারখানায় দায়িত্বরত ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও একাধিক জনকে আসামি করে নিহত একজনের স্ত্রী মামলা করেছেন। মামলা থানায় রেকর্ড করা হয়েছে। মামলা নম্বর ৬।
গত ৪ মার্চ বিকালে সীতাকুন্ডের কদমরসুলপুর এলাকায় সীমা অক্সিজেন লিমিটেড কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওইদিন ৬ জন নিহত হয়। এখন পর্যন্ত সীমা অক্সিজেন লিমিটেড কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছে। গত রোববার (৫ মার্চ) বিকেলে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ৬ জনের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ময়না তদন্ত শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিস্ফোরণে নিহত ৬ জন হলেন- সীতাকুন্ড উপজেলার ভাটিয়ারি জাহানাবাদ এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে শামছুল আলম (৫৬), ভাটিয়ারী বিএমএ গেট এলাকার আবুল বাসার মিয়ার ছেলে মো. ফরিদ (৩৬), নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দা উপজেলার ছোট মনগড়া এলাকার চিকি রোঙ্গী লখরেটের ছেলে রতন লকরেট (৪৫), নোয়াখালী জেলার মাইজদী থানার অলিপুর এলাকার মৃত মকবুল আহমেদের ছেলে আবদুল কাদের (৫৮), লক্ষ্মীপুর জেলার কমল নগর থানার চর লরেন্স এলাকার মহিদুল হকের ছেলে মো. সালাহ উদ্দিন (৩০) ও ময়মনসিংহ জেলার সেলিম রিচিল। নিহত ৬ জনের মধ্যে শামছুল আলম ও সালাহউদ্দিন কারখানার কর্মী নন। ঘটনার সময় তারা ছিলেন কারখানা থেকে আধা কিলোমিটার দূরে।
গত ৫ মার্চ রাত ৯ টা ৩৫ মিনিটে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন প্রবেশ লাল শর্মা (৫৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়। নিহত প্রবেশ লাল শর্মা ভাটিয়ারী ৬ নম্বর ওয়ার্ড মতিলাল শর্মা বাড়ির মৃত মতি লাল শর্মার ছেলে।
অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হন অন্তত ৩০ জন। এর মধ্যে ২০ জন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।