ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ধারার মধ্যে লোকসংস্কৃতি অন্যতম: রবি ভিসি

বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ধারার মধ্যে লোকসংস্কৃতি অন্যতম: রবি ভিসি

সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে উপচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. মোঃ শাহ আজম বলেছেন, বাংলাদেশের যে সকল সাংস্কৃতিক ধারা আছে তার মধ্যে অন্যতম লোকসংস্কৃতি। লোকসংস্কৃতির শক্তি অপরিসীম এবং এটি সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে পারে।

সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনে ৩ দিন ব্যাপী 'তীর্থক পালা পার্বণ ১৪২৯' এর দ্বিতীয় দিনের আয়োজিত পালা গানের অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, দেশপ্রেম ও শাশ্বত বাংলার যে দৈনন্দিন কর্মকান্ড তা লোকসংস্কৃতির মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। এর প্রবাহ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। লোকসংস্কৃতি জাতিসত্তার পরিচয় নির্দেশ করে। লোকজ ধারার যে চর্চাগুলো দিন দিন অবহেলার কারণে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে সেই ধারাগুলোকে পুনরুদ্ধার করার দায়িত্ব এখনকার সংস্কৃতিকর্মী এবং সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকদের। মানুষের শিল্পচর্চা করার যেসব মাধ্যম ছিল এ ধারাগুলো ক্রমান্বয়ে রাষ্ট্রীয় ও সাংগঠনিক পৃষ্ঠপোষণার আওতায় চলে এসেছে। রাষ্ট্র একটি সংস্কৃতি বান্ধব সরকার দ্বারা পরিচালিত হবার কারণে এখন রাষ্ট্র কিছুটা পৃষ্ঠপোষণা দিচ্ছে। তবে শুধু রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষণায় বাঙালির চিরন্তন সাংস্কৃতিক ধারাগুলোকে টিকিয়ে রাখলে চলবে না। এটার সঙ্গে যুক্ত হতে হবে ব্যক্তি পর্যায়ের এবং বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগ। এক্ষেত্রে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এ পালাগানের আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম লোকজ সংস্কৃতি পালাগানের ধারা সম্পর্কে জানতে উদ্বুদ্ধ হবে। পুরনো যে লোকজধারা তার সঙ্গে সমসাময়িক কালের সংকটের বোঝাপড়া এবং আধুনিক প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, উৎকর্ষ তার সাথে সমন্বয় করার প্রচেষ্টা এ পালায় লক্ষ্যণীয়। বাঙালির লোকসংস্কৃতির চর্চাকে বেগবান করার জন্য রবিতে এ পালার পরিবেশনা আয়োজন করতে চাই এবং লোকজ সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করতে চাই বলে তিনি জানান।

এ সময় নাট্যজন মলয় ভৌমিক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এবং তীর্থকের প্রাক্তন সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সাংস্কৃতিক,ধারা,লোকসংস্কৃতি
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত