নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৩, ১৩:৫৭ | অনলাইন সংস্করণ
নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁয় স্ত্রী হত্যা মামলায় ১২ বছর পর স্বামী ফরিদুল রেজা ফরিদ (৫৮) এর মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। রোববার (১২ মার্চ) বেলা ১১টায় নওগাঁ দ্বিতীয় আদালত অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো: ফেরদৌস ওয়াহিদ এ রায় প্রদান করেন। এসময় আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ফরিদুল রেজা ফরিদ নওগাঁ সদর থানার আতিথা গ্রামের মৃত আজগর আলী মন্ডলের ছেলে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন- অ্যাডভোকেট আব্দুল বাকী ও আসামী পক্ষের আইনজীবি রাষ্ট্র নিযুক্ত অ্যাডভোকেট অমরেদ্রনাথ ঘোষ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০১১ সালের ৫ এপ্রিল রাত ৩ টার দিকে শয়ন ঘরে আসামী ফরিদুল রেজা ফরিদ মেয়ের সামনে স্ত্রী শামীমা আক্তার ওরফে লিপিকে ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এসময় নিহতের মেয়ের দিপা চিৎকার শুরু করে। পরে মেয়ে দিপাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোদাল দিয়ে আঘাত করলে তার ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল কেটে রক্তাত্ত জখম হয়।
ঘটনায় নিহতের ভাই কাঞ্চন হাওলাদার বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেন। নওগাঁ সদর থানায় মামলা নং-৩২৭/২০১১।
মামলায় দীর্ঘ শুনানি শেষে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তিযোগ্য অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে আদালতে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল বাকী বলেন, মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত হয়। পরে সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদন্ড দেয় আদালত। রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করছি। সমাজের প্রত্যেক স্তরে বার্তা যাবে ন্যায় বিচার আছে।
আসামীপক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত অ্যাডভোকেট অমরেদ্রনাথ ঘোষ বলেন, আসামী ফরিদুল রেজা ফরিদ মানষিক ভারসাম্যহীন। রাতে মেয়ের সামনে ধারালো ছুরি দিয়ে তার স্ত্রীর গলা কেটে হত্যা করে। আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট না হওয়ায় উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে জানান তিনি।