ফুলবাড়ীতে স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদে সংঘর্ষে আহত ১০, থানায় মামলা 

প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৩, ১৫:৫১ | অনলাইন সংস্করণ

  ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন। আহতরা বর্তমানে ফুলবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। 

শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের রাবাইটারী বসুনিয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা শ্রী অকিল চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে শনিবার রাতে ফুলবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

আহতরা হলেন- শ্রী অকিল চন্দ্র সরকার (৪৫), শ্রী মুকুল চন্দ্র সরকার (৩৫), শ্রী সুভাশীষ চন্দ্র সরকার (২৬), শ্রী সুনীল চন্দ্র সরকার (৫০), সতীর্থ কর্মকার (২৪), রনি মিয়া (২১), হাছেন আলী (৪৫), শমসের আলী (৫০), হুমায়ুন আহমেদ (২৪) ও জনি আলম (২১)। সকলের বাড়ি ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের রাবাইটারী বসুনিয়া পাড়ায়। 

অভিযোগ সুত্রে  জানা গেছে, হাছেন আলীর ছেলে রনি মিয়া (২১) গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে একই এলাকার নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সময় ফুল ও চিঠিপত্র দিতেন এবং বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কথা বলে প্রায় সময় উত্যক্ত করতেন। ওই শিক্ষার্থীর বাবা শ্রী অকিল চন্দ্র সরকার উত্যক্তকারী রনি মিয়ার বাবা হাছেন আলীর কাছে নালিশ করলে রনি মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে যান।

শনিবার (১১ মার্চ) বিকালে ওই স্কুল শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে তাকে জোরপূর্বক ধরে রাস্তার পাশে একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন রনি। মেয়েটির আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন সেখানে উপস্থিত হলে রনির চেষ্টা ব্যর্থ হয়। পরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা ও স্বজনরা ঘটনাস্থলে যান। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর বাবা ও স্বজনদের সাথে উত্যক্তকারী রনি ও তার লোকজনের মাঝে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয়পক্ষের ৫জন করে মোট ১০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের ফুলবাড়ী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেয়। 

শিক্ষার্থীর বাবা শ্রী অকিল চন্দ্র সরকার বলেন, রনির উত্যক্তের কারণে তার মেয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলো। আমরা শুধু উত্যক্তের প্রতিবাদ করেছিলাম। রনি ও তার লোকজন আমাদের উপর হামলা চালায়। আমি থানায় মামলা দিয়েছি। পুলিশ এ ব্যাপারে আইনী ব্যবস্থা নিবেন। 

তবে অভিযুক্ত উত্যক্তকারী রনির দাবি তিনি ওই শিক্ষার্থীকে উত্যক্ত করেননি। প্রতিবেশি বোন হিসেবে ২১ ফেব্রুয়ারীর দিন তাকে ফুল উপহার দিয়েছিলেন। মেয়েটির পরিবারের লোকজন কোন কিছু যাছাই না করেই আমার উপর হামলা করেছে বলে তিনি দাবি করেন।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত সারওয়ার পারভেজ জানান, মেয়ের বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করায় রাতেই উত্যক্তকারী রনি মিয়াসহ আরো অনেকের নামে মামলা দায়ের করেছেন।