মানিকগঞ্জে হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি আঠারো বছর পর গ্রেপ্তার
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৩, ২৩:০৭ | অনলাইন সংস্করণ
দেওয়ান আবুল বাশার, মানিকগঞ্জ
রাজধানীর কাফরুল এলাকার চাঞ্চল্যকর নাজমা বেগমকে গুলি করে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী আজাদ কাজী ওরফে কিলার আজাদ (৪৫) কে আঠারো বছর পর মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর এলাকা থেকে শনিবার (১১ মার্চ) বিকেলে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
রবিবার (১২ মার্চ) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৪ এ তথ্য জানায়। র্যাব জানায়, কিলার আজাদকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, গ্রেপ্তারকৃত আজাদ ও ভিকটিম নাজমা বেগম একই সাথে রাজধানীর কাফরুল থানার এলাকায় বসবাসসহ একই সাথে মাদক ব্যবসা করতো। মাদক ব্যবসার সুবাদে ভিকটিমের সাথে মাদক ব্যবসায়ী আজাদ, সিটু, হৃদয়, মানিক, হিরা এবং আমিরের পরিচয় হয়। ভিকটিম নাজমা বেগম উক্ত বিবাদীদের সাথে র্দীঘদিন ধরে অবৈধ মাদক ব্যবসা করে আসছিল।
মাদক ব্যবসার একপর্যায়ে মাদক ব্যবসার টাকা নিয়ে ভিকটিম নাজমা বেগম বেগমের সাথে মাদক ব্যবসায়ী মানিক এবং কাজী আজাদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে ২০০৫ সালের জুলাই মাসের ৮ তারিখ সকাল আনুমানিক সাড়ে সাতটার সময় হৃদয়, মানিক, হিরা, আজাদ এবং আমির ভিকটিম নাজমা বেগমের বসত ঘরের ভিতর প্রবেশ করে ভিকটিম নাজমা বেগমকে ঘরের বাহিরে বের করে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করে তারা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মানিক, হিরা, আজাদ, সিটু, হৃদয় এবং আমিরসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনকে আসামী করে ডিএমপির কাফরুল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা হওয়ার পর আসামী হৃদয় ব্যতিত মানিক, হিরা, আজাদ, সিটু এবং আমিরদেরকে কাফরুল থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। মামলা হওয়ার পর থেকেই আসামী হৃদয় আত্মগোপনে চলে যায়। গ্রেফতারকৃত সকল আসামীরা ১৫ মাস কারাবাস থেকে জামিনে মুক্তি পায়। এ মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এজাহারনামীয় আসামী মানিক, হিরা, কিলার আজাদ, সিটু, হৃদয় এবং আমিরদেরকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
পরবর্তীতে চার্জশীটের ভিত্তিতে আদালত উক্ত মামলার বিচারকার্য পরিচালনা করেন এবং পর্যাপ্ত স্বাক্ষ্য প্রমাণ ও উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ভিকটিম নাজমা বেগম হত্যাকান্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অপরাধে ঢাকা জেলার জেলা ও দায়রা জজ চার্জশীটে অভিযুক্ত আসামী কিলার আজাদকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন।
পলাতক আসামী আজাদ মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় প্রথম থেকেই গত ১৮ বছর পলাতক ছিলো। জিজ্ঞাসাবাদ ও আরো যাচাই বাচাই শেষে জানা যায়, কিলার আজাদের বিরুদ্ধে দুইটি হত্যা মামলা, ০৮ টি মাদক মামলাসহ মোট ১৮টি মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।