কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ে লাকড়ী সংগ্রহকালে ‘মুক্তিপণের দাবিতে’ নয়জনকে অপহরণ করেছে দূর্বৃত্তরা। পরে পুলিশের অভিযানের মুখে দুই শিশুকে ছেড়ে দিলেও জিম্মি রয়েছে সাতজন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২ টায় টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন, টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান।
অপহৃতরা হলেন, উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা গ্রামের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন (১৭), ফজল করিম (৩৮), জাবেরুল ইসলাম (৩৫), আরিফ উল্লাহ (২২), মোহাম্মদ রশিদ (২৮), মোহাম্মদ জাফর (৩৮), মোহাম্মদ জয়নুল (৪৫), মোহাম্মদ আমির (১১) ও রিফাত উল্লাহ (১২)।
এর ঘন্টাখানেক পরে মোহাম্মদ আমির ও রিফাত উল্লাহকে সন্ত্রাসীরা ছেড়ে দিয়েছে। তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান।
বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের (ইউপি) সদস্য মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দারা দল বেঁধে পাহাড়ের ভেতরে কাঠ সংগ্রহ করতে যান। দুপুরের দিকে পাহাড়ের গহিনে মুখোশধারী ও অস্ত্রধারী ১৫-২০ জন তাদেরকে ঘিরে ফেলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন। এসময় নয়জনকে অপহরণ করে পাহাড়ের ভেতরে নিয়ে যান। এর মধ্যে দুইজন কিশোর পালিয়ে এসেছেন বলে শুনেছি। অপহরণের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলো পুলিশকে অবহিত করেছেন।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. আব্দুল হালিম বলেন, ‘পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি পুলিশের কয়েকটি দল অভিযানে রয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের সঙ্গে পাহাড়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযানে সহযোগিতা করছে।
বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান বলেন, “ঘটনায় কারা জড়িত পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয়। অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশ অভিযানের পাশাপাশি জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছে।”
এ ৯ জন ছাড়া এর আগে গত ৬ মাসে টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক ৪১ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১৭ জন রোহিঙ্গা হলেও ২৪ জন স্থানীয় বাসিন্দা। যেখানে ২২ জন মুক্তিপনের টাকা দিয়ে ফেরত আসার তথ্য জানিয়েছিল। সর্বশেষ গত ৩ মার্চ ২ শিশু অপহরণের ৮ ঘন্টা পর ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসে। এছাড়া ২১ জানুয়ারি হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়ক পাহাড়ি ঢালার ভেতর থেকে মোহাম্মদ হোসেন নামে এক ইজিবাইক চালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।