নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন সাইনবোর্ড সংলগ্ন বাংলাদেশ নবজাতক হাসপাতালের পার্শ্বে সামাদবানু ভবনের দ্বিতীয় তলায় মা ডিজিটাল কালারল্যাব নামক দোকান এর সামনে এবং তৃষা আদর্শ কর্পোরেশন মার্কেট এলাকা থেকে বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে পাসপোর্ট দালাল চক্রের ২ (দুই) জন মূলহোতাসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ এর একটি টিম।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগরের জালকুড়ি সিকদারবাড়ী পুল এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মান্নানের পুত্র মূলহোতা মোঃ মুকুল মোল্লা (৩০), ফতুল্লা রেলস্টেশন এলাকার মোঃ সোলায়মানের পুত্র মূলহোতা সাইফুল ইসলাম (২৮), জালকুড়ির মৃত হাসান আলীর পুত্র মোঃ রাকিব (২৫), সোনারগাঁয়ের বাঘরি এলাকার মোঃ ফজলুল হকের পুত্র মোঃ আলমগীর (৩২), জালকুড়ি নাইন্তার পাড়া এলাকার মোঃ আমিন সিকদারের পুত্র মোঃ নবীন (১৮), তুষারধারা সাত্তার মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত আলাউদ্দিন খানের পুত্র মোঃ শফিকুল ইসলাম রানা (৩৫), ফতুল্লার পিলকুনি (মোল্লা বাড়ি) এলাকার বাসিন্দা মোঃ শাহজাহানের পুত্র মোঃ সাখায়েত উল্লাহ (৩০), বন্দর একরামপুর উইলসন রোড এলাকার মৃত খলিলুর রহমানের পুত্র মোঃ শফিকুল ইসলাম (৪৫), ফতুল্লার তুষারধারা সাদ্দাম মার্কেট এলাকার মৃত দেলোয়ার সিকদারের পুত্র মোঃ ইমরান হোসেন সুজন (৩৪), মিজমিজি সাহেবপাড়া বাজার আলম মুন্সীর বাড়িস্থ মোঃ গিয়াস উদ্দিন আহমেদের পুত্র মোঃ সিরাজ উদ্দিন সাজু (৩৯), ডেমরা মাহমুদ নগর এলাকার মৃত আমিন উল্লাহর পুত্র হাসান ইকবাল (৩৬), ৩৮/৪ আল্লামা ইকবাল রোডের মৃত আবুল কাশেমের পুত্র মোঃ জাহিদ (৪৫), সোনারগাঁয়ের মঙ্গলের গাঁও এলাকার মোঃ আলী মিয়ার পুত্র মোঃ মফিজুল (৩৫), সাইনবোর্ড শান্তিধারা সুজন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত সিরাজুল ইসলামের পুত্র মোঃ সজিব (৩২)।
উক্ত অভিযানে গ্রেফতারকৃত আসামীর হেফাজত হতে ২২টি পাসপোর্ট, পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লীপ-৪৮৭ কপি, এনআইডি কার্ড ১৯ টি, রাবার সীল ৮ টি, মোবাইল ফোন ২০ টি এবং ৩১টি সীম উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা জানায় যে, তারা সকলেই দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন লোকজনের নিকট থেকে পাসপোর্ট তৈরী করে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার মাধ্যমে বেআইনিভাবে অন্যের পাসপোর্ট নিজেদের দখলে রেখে অপরাধমূলকভাবে ভুক্তভোগী জনসাধারণের বিশ্বাস ভঙ্গ করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল বলে স্বীকার করে। তারা আরো স্বীকার করে যে, জব্দকৃত মোবাইল ফোন দিয়ে বিভিন্ন লোকজনের সাথে দালালির মাধ্যমে পাসপোর্ট তৈরী করে দেওয়ার বিষয়ে যোগাযোগ করত এবং বিভিন্ন থানার ডিউটি অফিসারের সীল ব্যবহার করে ভূয়া কাগজপত্র তৈরীর মাধ্যমে মানুষের সাথে প্রতরণা করে আসছে।
প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীদের’কে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
