ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সিরাজগঞ্জে পানাসি প্রকল্পের কাজ অব্যাহত, বাড়ছে সেচের এরিয়া 

সিরাজগঞ্জে পানাসি প্রকল্পের কাজ অব্যাহত, বাড়ছে সেচের এরিয়া 

সিরাজগঞ্জে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) পাবনা-নাটোর-সিরাজগঞ্জের (পানাসি) ভূপরিস্থ পানির মাধ্যমে সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ অব্যাহত রয়েছে। এতে পুনঃখননকৃত খালে প্রবাহমান পানি থেকে সেচের এরিয়া বাড়ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শয্যভান্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ প্রকল্পের কাজগুলো চলছে। এ উপজেলার ইতিমধ্যেই প্রায় ৩০ কিঃ মিঃ খাল পুনঃখনন করা হয়েছে। এতে ৯০ হেক্টর জমির জলাবদ্ধতা দূরীকরণ করা হয়েছে এবং আবাদের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও ভূপরিস্থ নদীর পানি ব্যবহার করে ঘুরকা, ধানগড়া, ও চান্দাইকোনা ইউনিয়নে এলএলপি পাম্প স্থাপনের মাধ্যমে স্কীম চালু করা হয়েছে। এতে ২৫০ হেক্টর অনাবাদী জমিও আবাদের আওতায় এসেছে। জোন এলাকায় প্রায় ৪০টি ১ হাজার মিটার ও ৬৫টি ৫’শ মিটার ভূ-গর্ভস্থ সেচনালা নির্মাণ হচ্ছে। এতে প্রায় ৩০ শতাংশ পানির অপচয় রোধ হবে এবং এ পানি অতিরিক্ত ৩০ শতাংশ জমিতে সেচ দেয়া সম্ভব হবে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আদর্শ কৃষকেরা সাংবাদিকদের বলেন, খালের পানির মাধ্যমে সেচ কাজ করায় খরচ অনেক কমে গেছে। এ পানির রিজার্ভ বাড়ালে পানির স্তর নিম্নমুখি হওয়া থেকে রোধ হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের ০৬টি মাঝারি ও ছোট আকারের হাইড্রোলিক ট্রাকচার নির্মাণে কৃষিপণ্য পারাপার সহজ হয়েছে। এ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১৫ টি অচল গভীর নলকূপ সচল করার মাধ্যমে ২২০ হেক্টর অনাবাদী জমি আবাদের আওতায় আনা হয়েছে। এতে অতিরিক্ত প্রায় ৪’শ মেঃ টন ফসল উৎপাদিত হবে। বিশেষ করে এ প্রকল্পের খনন কাজে কিছুটা অনিয়মের প্রশ্ন উঠলেও কাজ ভালো হয়েছে।

এ বিষয়ে বিএডিসির রায়গঞ্জ জোনের সহকারী প্রকৌশলী মোছাদ্দেক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এ প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, এক ফসলি জমি তিন ফসলিতে রূপান্তর করা এবং ভূ-গর্ভস্থ সেচনালা নির্মাণের মাধ্যমে অনাবাদী জমি আবাদী জমিতে রূপান্তর করা। সেইসাথে ফসল পারাপারে হাইড্রোলিক ট্রাকচার নির্মাণ করা। প্লাবিত জমি উদ্ধার করা, অচল গভীর নলকূপ সচল করার মাধ্যমে সেচের আওতা বৃদ্ধি এবং ভূপরিস্থ পানি ব্যবহারের মাধ্যমে সেচের খরচ হ্রাস করা। শয্যভান্ডার খ্যাত রায়গঞ্জ উপজেলায় এ প্রকল্পে প্রায় ১৫ কেটি টাকা ব্যয় হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সেচ,উন্নয়ন,প্রকল্প
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত