কালিহাতীতে আদালতের আদেশ অমান্য করে দোকান ঘর দখলের চেষ্টা
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৩, ২৩:২২ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বানিয়ারা কাগুজিপাড়ায় আদালতের আদেশ অমান্য করে অসহায় একটি পরিবারের দোকানঘর দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে চাচাতো ভাই সাজেদুল ইসলাম রুবেলের (৩১) বিরুদ্ধে। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে ফজলুল হক (৫০) উপায়ন্তর না দেখে জরুরী পরিষেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ এসে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী দোকানঘরের কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতেই স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে জোড়পূর্বক দোকানঘর দখলপূর্বক পুন:নির্মাণ কাজের চেষ্টা করে।
জানা যায়, কালিহাতী উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের বানিয়া কাগুজিপাড়া গ্রামে পৈত্রিক ক্রয়সূত্রে বানিয়ারা মৌজায় সাবেক-৫২৯ (হাল-৮৯৯) দাগে ৬৫৮ নং ডিপি খতিয়ানে ২০ শতাংশ জমির সাড়ে ৭ শতাংশ জমি ফজলুল হক ও মজনু তালুকদার দুই ভাই ভোগদখল করে আসছেন। বেশকিছু দিন যাবত ওই জমি নিয়ে তার চাচাতো ভাইয়ের সাথে বিরোধ চলে আসছে। পরে ফজলুল হক টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার প্রেক্ষিতে আদালত বিরোধীয় ভূমিতে উভয় পক্ষের মধ্যে শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪ ধারা মোতাবেক নোটিশ জারী করেন।
ফজলুল হক তালুকদার বলেন, আমার পিতার ক্রয়কৃত দু’টি দলিলে সাড়ে ৭ শতাংশ ভূমির মধ্যে সাড়ে ৩ শতাংশ ভূমির উপর দোকান করে আমরা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। অবশিষ্ট ৪ শতাংশ বিভিন্ন সময় আমার চাচাতো ভাই ও তার সহযোগিরা জবর দখলের চেষ্টা করে। ওই জমি নিয়ে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা (মোকদ্দমা নং-৬৩/২০২৩, স্মারক নং-২৭৩(২)/বিচার তাং-০৯/০৩/২০২৩ কা:বি: ১৪৪ ধারা) দায়ের করি। বর্তমানে মোকদ্দমাটি বিচারাধীন আছে। গত ৯ মার্চ আবেদনের প্রেক্ষিতে উল্লেখিত মৌজায় ২০ শতাংশ জমির ওপর আদালত স্থিতাবস্থা জারি করেন।
সাজেদুল ইসলাম তালুকদার রুবেল জানান, উল্লেখিত জমিতে তার পিতা দু’টি দলিলে সাড়ে ২৪ শতাংশ ভূমি ক্রয় করেন। ফজলুল হকের দাবীকৃত ৪ শতাংশ ভূমি এ দলিলের অন্তর্ভূক্ত। এ কারণে তিনি ফজলুল হক ও মজনু তালুকদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
কালিহাতী থানার এসআই আল আমিন জানান, বিরোধপূর্ণ ওই ভূমিতে উভয় পক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত স্থিতাবস্থা (১৪৪ ধারা) জারি করেছেন। রোববার (১৯ মার্চ) সকালে একটি পক্ষ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কাজ করতে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। পুন:রায় যদি কাজ করতে যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।