আশ্রয়ণ প্রকল্প
মধুপুরে স্বপ্নের ঠিকানা পেল ৩’শ ৭০ পরিবার
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৩, ১৩:০৪ | অনলাইন সংস্করণ
রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের মধুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের স্বপ্নের ঠিকানা সেমি পাকা ঘর পেল ভূমিহীন দরিদ্র ৩৭০ পরিবার। মাথা গুজার ঠাঁই পেয়ে খুশি হত দরিদ্র পরিবারগুলো। ঠিকানাবিহীন পরিবারগুলো ঘর পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করছেন। এখন আর মেঘের গর্জন শুনে দুশ্চিন্তায় পড়তে হয় না তাদের। চমকে উঠতে হয় না বৃষ্টির ভয়ে। দিন শেষে স্বপ্নের নিবাসে ফিরে নিশ্চিন্তে ঘুমান তারা।
সরেজমিনে, মধুপুর শহর থেকে ২৬ কি. মি. দূরে শোলাকুড়ি ইউনিয়নের সুতানালী দীঘির পাড়। দীঘির পশ্চিম পাশ জুড়ে রঙিন টিনের ঝলকানি। দূর থেকে দেখে মনে হয় সারি সারি ঘরের বাহার। একপাশে বাজার অন্যপাশে পুরানো গুচ্ছ গ্রাম। পাশ দিয়েই রয়েছে পুরানো বসতি। পশ্চিম পাড়ের পুরোটা শেখ হাসিনার দেয়া গৃহহীন, আশ্রয়হীন, ভূমিহীনদের স্বপ্নের ঠিকানা। দক্ষিণ থেকে উত্তর পাশ পর্যন্ত লম্বালম্বি রঙিন টিনের সেমি পাকা অগনিত ঘরের সারি। সামনে এগিয়ে গেলে চোখে পড়ে পারিবারিক পুষ্টি বাগানে চাষ করছেন নানা সবজি।
স্থানীয়রা জানান, সরকারি সহযোগিতায় বাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান করা হয়েছে। ওই বাগানের সবজি কেউ কেউ পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রিও করে থাকেন। আশ্রয়ণের ঘরে বসবাসরত বেশ কয়েকজন পাশেই মুদি দোকান করে। আবার কেউ হাঁস-মুরগী পালন করে। কেউবা আবার ঘোড়া-মহিষের গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। নারীরাও ক্ষেতে-খামারে দিন মজুরের কাজ করে সুখে স্বাচ্ছন্দে জীবন ধারণ করে। দিনের কর্মক্লান্ত মানুষগুলো রাতে শেখ হাসিনার দেয়া সুখের ঠিকানায় নিশ্চিন্তে ঘুমান।
স্থানীয়রা আরো জানান, এসকল মানুষের নিজস্ব কোন জমি-জমা ছিল না। শেখ হাসিনা তাদের দলিলসহ দুই শতাংশ ভূমির উপর সেমি পাকা ঘর উপহার দিয়েছেন। উপহার পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য প্রাণ খুলে দোয়া করেন তারা।
শোলাকুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী জানান, শোলাকুড়ি ইউনিয়নের দীঘির পাড়ে গৃহহীনরা ১১০ টা ঘর পেয়েছে। আশ্রয়হীন মানুষদের এ ঘর দেয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। স্থানীয় সংসদ সদস্য কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপিকেও ধন্যবাদ জানান।
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমীন জানান, ভূমি ও গৃহহীন হতদরিদ্রদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর এ যুগান্তকারী পদক্ষেপে মধুপুরবাসীর পক্ষ থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মধুপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নের ৩৭০টি ঘরের মধ্যে তিনটি ধাপে প্রথম পর্যায়ে ৬২টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০০টি, তৃতীয় পর্যায়ে ১০৩ টি ভূমি ও ঘরের দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। সুবিধাভোগীরা ২ শতাংশ জমি কবিলিয়ত মিউটেশনসহ সেমি পাকা ঘর পেয়েছেন।