নারায়ণগঞ্জের পাইকারী ব্যবসাকেন্দ্র নিতাইগঞ্জে একটি বাণিজ্যিক ভবনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর অগ্নিকান্ডের ঘটনায় শাহজাহান নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে বুধবার (২২ মার্চ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ জনে। নিহত শাহজাহান শ্রমিক ছিলেন।
জানা গেছে, গত ১৮ মার্চ দেশের অন্যতম পাইকারী মোকাম নারায়ণগঞ্জ শহরের নিতাইগঞ্জে ডালপট্টিতে আর কে দাস রোডে নারায়ণগঞ্জ জেলা আটা ময়দা মিল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ইলিয়াস দেওয়ানের মালিকানাধীন শতবছরের পুরনো একটি বাণিজ্যিক ভবনে বিস্ফোরণে একজনের মৃত্যু ও আরো ৯ জন আহত হয়। প্রাথমিক ধারণা গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও বাকী ৩ জনকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। নিহত আওলাদ হোসেন (৬৫) নিতাইগঞ্জের খাজাবাবা ট্রেডার্সের শ্রমিক ও বন্দরের মদনগঞ্জের মকসুদ আলীর পুত্র।
স্থানীয়রা জানান, গত ২০ মার্চ মারা যান ইকবাল। সর্বশেষ ২২ মার্চ মারা যান শাহজাহান। এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ৪ জন।
দোতলা ভবনটি ঝূঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ ঘোষণা দিয়ে এটি ভেঙ্গে ফেলার জন্য ভবন মালিককে একাধিকবার নোটিশ দেয়া হলেও ভবন মালিক কোনরূপ কর্ণপাত করেননি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ বক্সের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, বুধবার (২২ মার্চ) সকালে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, নিতাইগঞ্জে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ওই দোতলা ভবনটি ভেঙে দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক)। বুধবার (২২ মার্চ) সকালে ভেকু দিয়ে ভবন ভাঙার কাজ শুরু করে একদল কর্মী।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এর নগর পরিকল্পনা কর্মকর্তা মইনুল হক জানান, জননিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) নিতাইগঞ্জে জেলা প্রশাসন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, গণপূর্ত, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), তিতাস গ্যাস, ডিপিডিসি ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ভবনটি ভাঙ্গার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।