ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সিরাজগঞ্জে মৌসূমি ধানক্ষেতে পোকা শনাক্ত করণে আলোর ফাঁদ স্থাপন!

সিরাজগঞ্জে মৌসূমি ধানক্ষেতে পোকা শনাক্ত করণে আলোর ফাঁদ স্থাপন!

সিরাজগঞ্জে মৌসূমি ইরি বোরো ধানক্ষেতে আলোর ফাঁদ স্থাপন করা হচ্ছে। এ ধানক্ষেতের উপকারি ও ক্ষতিকর পোকা শনাক্তকরণ ও দমনে এ ফাঁদ স্থাপন করছে কৃষি বিভাগ। এ চাষাবাদে এবার বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষকেরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলায় এবার ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষাবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যেই ধানক্ষেতে সমারোহ শুরু হয়েছে। তবে প্রতি বছর এ ধানক্ষেতে বিভিন্ন ধরনের পোকার আক্রমণে ফসলের ক্ষতি হয়ে থাকে। বিশেষ করে উপকারি ও ক্ষতিকারক পোকা থাকলেও কৃষকরা না জেনে এ পোকা দমনে কীটনাশক ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করে। এতে ক্ষতিকর পোকার সাথে অনেক উপকারি পোকাও মারা যায়। এতে এ মৌসূমী ধান উৎপাদনে প্রভাব পড়ে। এজন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি বিভাগ বিভিন্ন মাঠে ক্ষতিকারক পোকা শনাক্তকরণ ও উপস্থিতি পরীক্ষার জন্য জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার আলোর ফাঁদ স্থাপনের কাজ করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যেই প্রায় ২ হাজার আলোর ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে। ধানক্ষেতের প্রায় ২’শ মিটার দুরে ধান গাছ থেকেও প্রায় ২/৩ ফিট উঁচুতে এ আলোর ফাঁদ স্থাপন করা হচ্ছে। বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে লাইট, ব্যাটারি দিয়ে তৈরি ফাঁদের নিচে বালতি ও গামলা স্থাপন করা হয়। এ পাত্রের ভিতরে রাখা হয় সাবান পানির মিশ্রন। রাতে প্রায় ১ ঘন্টা এ আলোর ফাঁদ জ্বালানো হয়। এতে আকৃষ্ট হয়ে মাঠের পোকা-মাকড় উড়ে এসে সেই ফাঁদে পড়ে মারা যাবে।

সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকতারা মাঠে গিয়ে সেই ফাঁদে পড়া পোকা-মাকড় পরীক্ষা করে দেখছেন । এতে ক্ষতিকারক পোকা দমনসহ বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষি বিভাগ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের শুরুতেই নিজেদের অর্থায়নে জেলার ৯টি উপজেলার জন্য প্রায় সাড়ে ৩ হাজার আলোর ফাঁদ স্থাপন করা হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহের একদিন করে কৃষি কর্মকর্তারা বিভিন্ন মাঠে গিয়ে ফাঁদে পড়া পোকা শনাক্ত করেন এবং কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহারের কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরার্মশ দিচ্ছেন।

এ বিশেষ প্রযুক্তিতে পোকা দমন অব্যাহত থাকায় এবার বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সিরাজগঞ্জ,ধানক্ষেত,আলোর ফাঁদ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত