মশার উপদ্রবে নাজেহাল মুন্সীগঞ্জ পৌরবাসী
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৩, ২১:১৪ | অনলাইন সংস্করণ
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জে মশার উপদ্রব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মশার জ্বালাতনে কোথাও স্থির হয়ে বসতে পারছে না মুন্সীগঞ্জ পৌরবাসী। মশারি বা কয়েল ব্যবহার ছাড়া বসা যাচ্ছে না কোথাও। ফলে ভোগান্তি বাড়ছে।
শুধু রুমে নয়, টয়লেটে মশার উপদ্রব আরও বেশি। মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার পক্ষ থেকে ফগার মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে কিন্তু তেমন কোন কাজ হচ্ছে না।সরেজমিন দেখা যায়, মুন্সীগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ, পুরাতন কাচারী চত্বর, বিভিন্ন খেলার মাঠ, মুন্সীগঞ্জ সুপার মার্কেট , খালিষ্ট, উত্তর ও দক্ষিণ ইসলামপুর রাস্তা ও অ্যাকাডেমিক ভবনের আশপাশ, জলাশয়ের পাড়সহ বিভিন্ন স্থানে মশার মেলা।
স্থানীয়রা বলছেন নতুন ভবনগুলোর নির্মাণসামগ্রী, ও বাসা বাড়ির আশ পাশের খানাখন্দে জমে থাকা পানিতে মশা বংশ বিস্তার করছে।
কলেজ ছাত্র খালিদ হাছান বলেন, দিনরাত সমানভাবে মশায় কামড়ে যাচ্ছে। কয়েল বা মশারি ছাড়া রুমে অথবা বাইরে বসতে পারছি না। পৌর সভার উদ্যোগে ফগার মেশিন ব্যবহার করতে দেখি। ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ দিয়েছিল। সেগুলোও শুধু ড্রেন পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। ড্রেনে যখন ওষুধ দেয়, তখন মশাগুলো রুমে চলে আসে। নিয়মিত ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিটাতে হবে।
ইদ্রাকপুর বাসিন্দা শেফালী আক্তার বলেন মশার অত্যাচারে শুয়ে, বসে, পড়তে গিয়ে কোথাও শান্তি পাচ্ছি না। মশা মারতে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা কার্যকরী না। মশা মারার ওষুধ দিতে দেখেছি। ওষুধ দেবার দুই দিন পরেই আবার মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। অন্তত দুই দিন পরপর ওষুধ দেবার ধারা বজায় থাকলে হয়তো মশা নিধন সম্ভব হবে।
মুন্সীগঞ্জ পৌর ষ্টাফ আবুল কালাম বলেন, কয়েকটি নতুন মেশিন এসেছে এছাড়াও ৪ টি নতুন মেশিন নিয়ে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশার ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে। মশা সৃষ্টির উৎসগুলো আমরা চিহ্নিত করে সে জায়গাগুলো ধ্বংস করার চেষ্টা করছি। শুধু ওষুধ ছিটিয়ে তো মশা নিধন করা যায় না। মশা নিধন করতে সকলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা দরকার। মশা নিধনের জন্য পৌর মেয়র হাজি ফয়সল বিল্পব মহোদয় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
মুন্সীগঞ্জ পৌর মেয়র হাজি ফয়সাল বিল্পব বলেন, মশা নিধনে নতুন কিছু মেশিন আনা হয়েছে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মশা নিধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । পৌরসভার বিভিন্ন ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে।