পটুয়াখালীর বাউফলে আব্দুল্লাহ আল সোহান হত্যা মামলার সুষ্ঠ তদন্ত ও হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৩১ মার্চ) প্রায় ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে নিহত সোহানের বন্ধু উদয়, আবদুল্লাহ মেহেদী হাসান, ইউসুফ, রোকনুজ্জামান ও জিসান বক্তব্য রাখেন। বক্তারা সোহান হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল্লাহ আল সোহান প্রায় এক বছর আগে পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের মাসুমা সিদ্দিকা দোলা নামের (২৪) এক তরুনীকে বিয়ে করেন। বিয়ের বিষয়টি উভয় পরিবারে গোপন ছিল।
দোলা তার বাবা-মায়ের সাথে ঢাকা গোলাপবাগে থাকতো। আর আবদুল্লাহ আল সোহানও ঢাকার খিলগাঁও সি ব্লোকে আনসার ক্যাম্পের পিছনে ভাড়া বাসায় তার মা ও বোনসহ থাকতো। তার গ্রামের বাড়িও বাউফল পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডে। তার বাবা ইউনুস খান ওই ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর।
ঘটনার দিন মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সোহান ঢাকার বাসা থেকে ইফতারীর আগে স্ত্রী দোলার সাথে দেখা করার জন্য ঢাকার গোলাপবাগে যান। এসময় দোলার বাবা-মা বাসায় ছিলনা।
ইফতারীর ৩০-৪০ মিনিট পর দোলার ভাড়াটে বাসার মালিক জামাল হোসেন সোহানের উপস্থিতি টের পেয়ে তাকে বাসা থেকে টেনে হেচরে মারতে মারতে নিচতলায় একটি রুমে নিয়ে যায়। দোলা এসময় বাড়ীর মালিককে জানান সোহান তার স্বামী। তাদের বিয়ের কাবিননামাসহ কোর্ট ম্যারেজের কাগজপত্র উপস্থাপন করলে বাড়ির মালিক তা অগ্রায্য করেন।
মারধরের একপর্যায়ে সোহান অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মুগদা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন ।
এক ভাই এক বোনের মধ্যে সোহান বড়। তিনি ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি থেকে বিএসসি সিভিল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। তিনি পড়াশুনার জন্য আগামী ২২ এপ্রিল কানাডা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
এঘটনায় সোহানের বাবা ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় ৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বাড়ির মালিক জামাল হোসেনসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য দুই আসামী পলাতক রয়েছে।