পটিয়ায় যাত্রীবাহি বাসে কন্যা সন্তানের জন্ম দিল চকরিয়ার গৃহবধু
প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৩, ২০:০১ | অনলাইন সংস্করণ
গোলাম কাদের, পটিয়া প্রতিনিধি
পটিয়ায় যাত্রীবাহী বাসেই এক ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন এক মা। কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে বাসটি পটিয়া বাইপাস সড়ক হয়ে চট্টগ্রাম আসছিল। পথে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর প্রসবব্যথা ওঠে। যাত্রীদের অনুরোধে চালক বাসটি ঘুরিয়ে সরাসরি নিয়ে আসেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমার্জেন্সির সামনে যাত্রীরা দ্রুত বাস থেকে নেমে পড়েন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে চিকিৎসক ও নার্সরা ওঠেন বাসে। কিছুক্ষণ পরেই ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানের জন্ম হয় সেই বাসে।
গত রবিবার বিকেল সাড়ে চারটায় পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় ঘটনা ঘটে। পটিয়া হাসপাতালের ইমার্জেন্সি আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাদিয়া সারিন জানান, চকরিয়া থেকে ওই মহিলা চট্টগ্রামে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলেন। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে মূলত রেফার্ড করা হয়। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মহিলার প্রসব বেদনা নিয়ে একটি
যাত্রীবাহী বাস হাসপাতালের ইমার্জেন্সির সামনে আসে। তখন খবর পেয়ে আমি সহ দুইজন নার্স বাসে উঠি। যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হয়। বাসেই তার ডেলিভারি করা হয়। কারণ তখন হাসপাতালে নিয়ে ডেলিভারি করার সময় ছিল না। সন্তান প্রসব করা ইয়াছমিন আক্তার (২৫) কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার আবদুস শুক্কুরের স্ত্রী। তিনি সাগরে মাছ ধরার কাজ করেন। বাসটিতে ২৫–৩০ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে।
যাত্রীদের বরাত দিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদিয়া সারিন বলেন, প্রসবব্যথা যখন শুরু হয়, তখন বাসটি পটিয়ার ইন্দ্রপুল বাইপাস এলাকায় ছিল। যাত্রীদের অনুরোধে চালক বাসটি উল্টো পথে ঘুরিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। স্বভাবিক প্রসবের পর মা ও শিশুটিকে বাস থেকে নামিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লেভার রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। মা ও শিশু দুজনই সুস্থ আছেন বলে জানান তিনি।
গৃহবধু ইয়াছমিন আক্তারের বলেন, প্রসবের নির্ধারিত সময় তিনি জানতেন না। ছয় দিন ধরে তার শরীর খারাপ লাগছিল। রবিবার সকালে খারাপ লাগা বাড়তে থাকে। সকাল ১১টার দিকে প্রথমে তাকে চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্বজনেরা। চিকিৎসকেরা তাকে কক্সবাজার হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন। স্বামীসহ স্বজনেরা তাকে চকরিয়া থেকে বাসে করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসছিলেন। ঘরে ইয়াছমিনের তিনটি মেয়ে আছে। এটি তার চতুর্থ সন্তান।