পটিয়ায় পার্কিং ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্ব, নিস্পত্তি করতে হাইকোর্টের নির্দেশ

 

প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৩, ১৯:০৬ | অনলাইন সংস্করণ

  পটিয়া (চট্রগ্রাম) প্রতিনিধি

টেম্পু, টেক্সি পার্কিং ইজারা নিয়ে পটিয়ায় দ্ব›দ্ব চলছে। এ নিয়ে পটিয়া পৌরসভার বাসিন্দা মফজল আহমদ হাইকোর্টে একটি রিট আবেদনও করেছেন। এটি নিষ্পত্তি করতে পটিয়া পৌরসভার মেয়রকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে পৌরসভায় এক জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন পটিয়া পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বাবুল, পটিয়া পৌরসভার নির্বাহী নেজামুল হক, কাউন্সিলর শফিউল আলম, গোফরান রানা, শেখ সাইফুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন আজাদ, মহিলা কাউন্সিলর বুলবুল আকতার, ফেরদৌস বেগম ও রিট আবেদনকারী মফজল আহমদ। 

জানা গেছে, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে পটিয়া পৌরসভার টেম্পু, টেক্সি পার্কিং ইজারা পান পটিয়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা চানমিয়ার পুত্র আবদুল মান্নান। ইজারা চুক্তিমতে টেম্পো ৭ টাকা ও টেক্সি ৫ টাকা নির্ধারন করা হয়। এর মধ্যে চুক্তি ভঙ্গ করে অতিরিক্ত ইজারা আদায়ের বিষয়টি স্থানীয় গাড়ি চালকরা পটিয়া পৌরসভার মেয়রকে লিখিতভাবে জানান। অতিরিক্ত পার্কিং না দিতে পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিংও করা হয়। এর মধ্যে তথ্য গোপন করে মফজল আহমদ হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। শুনানী শেষে এটি নিস্পত্তির পর পটিয়া পৌরসভার মেয়রকে নির্দেশ দেন। কিন্তু রিট আবেদনকারী মফজল আহমদ পৌরসভার কোন ইজরাদার নয় এবং তার সাথে পৌরসভা কোন চুক্তিও হয়নি। পৌরসভার টেম্পু, টেক্সি পার্কিং মূল ইজারাদার হলেন আবদুল মান্নান। সম্প্রতি ছুরিকাঘাতে নিহত হন তিনি। 

পটিয়া পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বাবুল জানিয়েছেন, পৌরসভার গাড়ি পার্কিং এর মূল ইজারাদার আবদুল মান্নান। ইজারাদারের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টেক্স আদায় করার অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি সচেতনমূলক মাইকিং করেন। ইজারাদার চুক্তি ভঙ্গ করেছে এবং তার কার্যাদেশের মেয়াদও শেষ হয়েছে। নতুন ইজারাদার হিসেবে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। মফজল আহমদ পৌরসভার কোন ইজারাদার নন। পৌরসভার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে তিনি হাইকোর্টে রিট করেছেন।