টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার চার
প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৩, ১২:১১ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। টাঙ্গাইল ও গাজিপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বুধবার (৫ এপ্রিল) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার দলপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে রতন (২১), মাইজবাড়ী গ্রামের জহু মিয়ার ছেলে আরিফ হোসেন (২৬), ভূঞাপুর উপজেলার ফলদা গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৫) এবং রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার খেরুয়া আলম গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে সুজন মিয়া (২২)।
বুধবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার তার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান।
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাদারগঞ্জগামী মাদারগঞ্জ স্পেশাল নামক একটি যাত্রীবাহী বাসে গত সোমবার (৩ এপ্রিল) রাত দেড় টার দিকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। যাত্রীবেশি ৭-৮ জন ডাকাত টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের ঘাটাইল উপজেলার মাতাবাড়ী জোড়া ব্রীজ নামক স্থানে পৌঁছলে অস্ত্রের মুখে বাসটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। পরে যাত্রীদের টাকা ও স্বর্ণের চেইন, মুঠোফোন নিয়ে মধুপুর এলাকায় নেমে যায়। এ সময় তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কয়েক জন আহত হন।
পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পর ওই বাসের যাত্রী আরিফুর রহমান বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই মধুপুর থানা এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) সমন্বিত একটি দল ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে। গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে বুধবার সকাল ৭ টায় রতনকে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার মোনতলা গ্রাম থেকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে লুন্ঠিত একটি মুঠোফোন ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী সুজন মিয়া ও আরিফ হোসেনকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর উড়াল সেতুর এলাকা থেকে বুধবার সাড়ে ১১ টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুর ১ টার দিকে সাইফুল ইসলামকে আশুলিয়ার ফ্যান্টাসি কিংডমের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তারা মোট আটজন ডাকাতিতে অংশ নেয় বলে পুলিশকে জানিয়েছে। ওই বাস থেকে তারা ১৩ টি মুঠোফোন সেট, একটি স্বর্ণের চেইনসহ মোট প্রায় তিন লাখ টাকার মালামাল লুন্ঠন করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হবে।