বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্যাহ ভুলু বলছেন, যারা জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানের গুপ্তচর বলেন, তাদের বিচার হবে এদেশে। দেশ স্বাধীনতার পরে শেখ মুজিবুর রহমান জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনী উপ অধিনায়ক বানিয়েছেন এবং বীর উত্তম উপাধি দিয়েছেন, তাহলে শেখ মুজিবুর রহমানের বিচার করতে হবে। একদিন বাংলাদেশে এ বিচার হবে।
তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল কায়েম করে। সংবাদ পত্রসহ সকলদলের রাজনীতি বন্ধ করে দিয়েছেন। এরপর ৭ই নভেম্বর সিপাহি জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বহুদলীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থার মাধ্যমে সাবেক স্পীকার আবদুল মালেক উকিল এক আবেদনে জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার অধিকার দিয়েছে। আজকে সেই আওয়ামী লীগ নেই? শেখ হাসিনা লুটপাট দুর্নীতি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আজ আওয়ামী লীগ ও দেশকে চরম অবস্থানে নিয়ে গিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে পদ ত্যাগ করে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে আগামী নিবার্চন হবে ইনশাআল্লাহ । তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে তারেক রহমানের ডাক আসলে রাজপথে নেমে আসার আহবান করেন।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্য়ায় চৌমুহনী পৌরসভা ও বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরকত উল্যাহ ভুলু এসব কথা বলেন।
চৌমুহনী পৌর বিএনপির সভাপতি জহির উদ্দিন হারুন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার, সহঃসভাপতি এড. জাকারিয়া, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুর, সদস্য সামীমা বরকত লাকী, বেগমগন্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাক্ষা চন্দ্র দাস, সম্পাদক মাহফুজুল হক আবেদ, বিএনপি নেতা মোরশেদুল আমিন ফয়সাল, ওমর শরীফ সানিয়াত, জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন, রুস্তম আলীসহ উপজেলা বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী।
বক্তব্যে নেতাকর্মীগণ বলেন, রমজান মাস সিয়াম সাধনার মাস। এই ফজলতের মাস লক্ষ্য করে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ অতিবিলম্বে পদত্যাগ করে, জনগণের ভোটাধিকার জনগণকে দেওয়ার জন্য সুব্যবস্থা করে নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচনে সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহবান করেন।
পরে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়াসহ দেশের শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য দোয়া ও মোনাজাত করেন মাওলানা আবুল বাসার।