রংপুরে নিরাপত্তা ও ন্যায় বিচার চেয়ে হরিজন সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। রোববার (৯ এপ্রিল) বেলা ১২টায় স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন হরিজন সম্প্রদায়।
সংবাদ সম্মেলন সূত্রে জানা যায়, রংপুর সদর হাসপাতালে হরিজন জনগোষ্ঠী দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করে আসছে। গত এপ্রিল মাসে সকালে ছোট ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার প্রভাবশালী, সুদের ব্যবসায়ী হেমন্তী রানীর নির্দেশে তার ছেলে টুটু বাসফোর, তপন বাসফোরসহ কয়েকজন নয়ন বাসফোরকে ঘুমন্ত অবস্থায় বাসা থেকে টেনে-হেঁচড়ে বাইরে বের করে বেধড়ক মারধর করে, এক পর্যায়ে রডের পাইপ দিয়ে মেরে পা ভেঙ্গে দেয়, মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও মারধর করতে থাকে। এমতাবস্থায় স্বাধীন বাসফোর এগিয়ে আসলে টুটুল কোন কিছু বুঝার আগে রড দিয়ে তার পা ভেঙ্গে দেয়, স্বাধীন সেখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকে। পরে তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসা নিয়ে স্বাধীন বাসায় ফিরলেও নয়ন বাসফোর মেডিকেলে রয়েছেন। হামলার সময় এলাকার ৮/১০ টি ঘর ভাংচুর করা হয়। সন্ত্রাসীদের হুমকি ও হামলার ভয়ে এলাকার ৩৫/৪০টি পরিবার সিটি কর্পোরেশন মাঠে রাত কাটাচ্ছে। এব্যাপারে থানায় মামলা হলেও আসামী না ধরায় হরিজন জনগোষ্ঠির পরিবারগুলো নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন হরিজন জনগোষ্ঠি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হরিজন জনগোষ্ঠির সিলিপ বাসফোর, ছোট্টু বাসফোর, রানা বাসফোর, সুবাস বাসফোর, সুমন বাসফোর, রুমা রানী, বেবী, নয়ন বাসফোরের মেয়ে শ্যামলী রানীসহ এলাকার শতাধীক নারী-পুরুষ।
