সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামেও তীব্র গরমে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। গরমের প্রকোপে রোজাদারদের অবস্থাও কাহিল। সকালে সুর্য উঠার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র রোদের দেখা মেলে। বেলা বাড়ার সাথ সাথে রোদ যেন আগুনের ফুরকি হয়ে ঝড়ছে। বিশেষ করে দুপুরের পর আগুন ঝরা রোদের তেজে ঘর বাহির হওয়া মুসকিল।
বুধবার সরেজমিনে চৌদ্দগ্রাম বাজারে দেখা যায়, তীব্র গরম উপেক্ষা করে অনেকে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্থ। কেনাকাটার কারণে বাজারে মহিলাদের আধিক্যে জনবহুল বাজারগুলোতে গরমের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানায়, বুধবার চৌদ্দগ্রামের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বৃষ্টির পরিমাণ ০%। সহসাই বৃষ্টির দেখা মিলবেনা বলেও জানান তারা। চলমান তাপপ্রবাহে সবচেয়ে কষ্টে পড়ছে খেটে খাওয়া মানুষ, দিনমজুর, রিকশা,ভ্যানচালক ও কৃষি কাজ নিয়োজিত কৃষকেরা। গরমের তাপদাহে রিক্সাচালক, দিনমজুর কাজ করা অনেকে ঘর থেকেই বের হচ্ছেনা।
চৌদ্দগ্রাম বাজারের রিকশা চালক জহির বলেন, প্রখর রোদে সব পুরে যাচ্ছে। দুপুর বেলা মনে হচ্ছে যেন শরীর থেকে আগুন বের হচ্ছে। তীব্র গরমে বের হওয়া দায়। এভাবে তাপদাহ চলতে থাকলে রুটি রুজিও করা সম্ভব হবেনা। পরিবার নিয়ে কিভাবে দিন কাটাবো সেই চিন্তায় আছি।
দিনমজুর রহমত আলী জানান, এ গরমে মাঠে কাজ করা যাচ্ছে না। সকাল বেলা রোদের ঝিলিক দেখে একটু কাজ করে আবার ছায়ায় এসে বসছি।
কৃষক রশিদ মিয়া বলেন, ধানে সেচ দিয়ে আর পারছিনা, সকাল বেলা সেচে পানি দিলে বিকালে শুকিয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ একটু বৃষ্টির পানি দিলে কৃষি জমিনের অনেক উপকার হতো।