নোয়াখালীতে শ্রমিক অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২৩, ১৬:০১ | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালী সদর উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের অব্যবস্থাপনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পড়েছে এক শ্রমিক। পল্লী বিদ্যুৎ জিএমজি নজরুল ইসলাম জানান, এঘটনায় লাইনম্যানকে সাসপেন্ড করা হয়েছে এবং ১৫ তারিখের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আহত শ্রমিক ইমন (২০) উপজেলার চরশুল্লুকিয়া গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) সকালে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা সঙ্কটময়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহত ইমন পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারের আর্থিক সংকটের কারণে শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। বুধবার সকালে নোয়াখালী সদর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের কাজিরটেক রাস্তার মাথায় নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, সোনাপুর জোনাল অফিসের তত্ত্বাবধানে বৈদ্যুতিক লাইনের উপর ঝুলে পড়া গাছের ডালপালা ছাঁটার জন্য ইমন, নুর উদ্দিন (২৫), নুর নবী, সবুজ (৩০), আলী, রাকিব (১৮), সেলিমকে শ্রমিক হিসেবে কাজ দেয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী ডালপালা ছাঁটার সময় বৈদ্যুতিক লাইন বন্ধ রাখতে হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা মোস্তফা ও মোজাম্মেল এবং লাইন বন্ধ করার দায়িত্বে থাকা আপন বাবু নামের এক কর্মকর্তা লাইন বন্ধ রাখার নিশ্চয়তা প্রদান করলে ইমনসহ অন্যান্যরা গাছে উঠে ডালপালা ছাঁটতে শুরু করে। কিন্তু হঠাৎ গাছের একটি ডাল বৈদ্যুতিক লাইনের উপর পড়লে মুহুর্তেই আগুন ধরে যায় এবং গাছে থাকা ইমন মারাত্মকভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়। আগুনে তার ঘাড়ের বেশিরভাগ অংশসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিক নুর উদ্দিন বলেন, মোস্তফা ও মোজাম্মেল আমাদের লাইন বন্ধ হয়েছে বলে ডালপালা কাটার নির্দেশ দেয়। তখনও লাইন বন্ধ হয়নি। তারা ইচ্ছে করেই এমন কাজ করেছে। তারা লাইন বন্ধ না করে আমাদেরকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সোনাপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম বলাই মিত্র বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। তদন্তে শেষে এ বিষয়ে জানা যাবে।