চাঁদপুর নৌ-সীমানার মেঘনায় ট্রলারে ডাকাতি, ডাকাতির চিনি ও ভোজ্যতেল কুমিল্লায় উদ্ধার

প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৫২ | অনলাইন সংস্করণ

  শওকত আলী, চাঁদপুর

চাঁদপুর নৌ-সীমানায় নারায়গঞ্জ থেকে কেনা খুলনার ব্যবসায়ীদের চিনি ও ভোজ্যতেল পরিবহনের সময় ডাকাতের কবলে পড়ে পণ্যবাহী ট্রলার। চাঁদপুরের মতলব উত্তর দশানি লঞ্চঘাট এলাকায় ডাকাত দলের সদস্যরা ট্রলারে থাকা ৫ জন আরোহীকে হাত-পা বেঁধে নদীর পাশে চরে ফেলে দিয়ে ৩৩০ ড্রাম ভোজ্যতেল (সয়াবিন) ও ৬'শ বস্তা চিনি নিয়ে যায়।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় মতলব উত্তর উপজেলার বেলতলী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক কবর আলী খান এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ১২ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা পণ্যবাহী ট্রলার মতলব উত্তর উপজেলার দশানী লঞ্চঘাট এলাকায় আসলে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের হামলার কবলে পড়ে। এ সময় ট্রলারে থাকা মুকবুল গাইয়ুম, মোহাম্মদ হোসেন গাজী, মনির হোসেন, আবুল হোসেন ও জয়নাল আবেদীন নামে ট্রলারের শ্রমিকদেরকে ডাকাতরা হাত-পা বেঁধে নদীর পাশে চরে ফেলে দেয়। তবে এই ঘটনায় কেউ গুরুতর আহত হয়নি।

তিনি আরো বলেন, এই ঘটনায় শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে চাঁদপুর সদরের ট্রলার মালিক মো. কাদির বেপারী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এই ঘটনায় ডাকাতি হওয়া ১৩৪ বস্তা চিনি চাঁদপুর সদরে এবং ৪০ ড্রাম ভোজ্যতেল কুমিল্লার দাউদকান্দি থানা পুলিশ উদ্ধার করে। বাকী মাল উদ্ধার ও ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতার করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।

ডাকাতি হওয়া মালের মালিকদের মধ্যে খুলনার ব্যবসায়ী সোনালী এন্টারপ্রাইজের প্রদীপ সাহা জানান, ট্রলারে থাকা মালগুলো হচ্ছে- সোয়েব ব্রাদার্স, সাহা ট্রেডিং, সাহা ট্রেডার্স, নিপা এন্টারপ্রাইজ, আরএম এন্টারপ্রাইজ, তপন ট্রেডার্স, রাজীব ট্রেডার্স, ইলিয়াস স্টোর ও সিরাজুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন ব্যবসায়ীর। চিনি, ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য পণ্যসামগ্রী নারায়নগঞ্জ থেকে ক্রয় করে আমরা খুলনায় ট্রলার করে নিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতের কবলে পড়ে। তবে ট্রলারে থাকা মাল ও ডাকাতি হওয়া মাল এখন পর্যন্ত মিলিয়ে দেখা হয়নি।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) ভোরে সদর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের কানুদী বাজারে একটি দোকানের সামনে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ১১৮ বস্তা ও শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে একই স্থান থেকে ১৬ বস্তা চিনি উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে চিনির বস্তাগুলো থানা হেফাজতে রয়েছে।