ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদের আনন্দ শুধু ধণীদের বা সমাজের বিত্তবান ও সামর্থ্যবানদের মাঝেই যেন না থাকে, সেটি যেন সমাজের সকল শ্রেণীর মাঝে ছড়িয়ে পড়ে সেজন্য প্রতি বছর নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় নারায়ণগঞ্জের আলোচিত কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের পক্ষ থেকে।
প্রতি বছরের মত এবারো সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষের সন্তানদের জন্য ৫ টাকায় ঈদের নতুন জামা কেনার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। তাদের কাছ থেকে নেয়া এই ৫ টাকা পরবর্তীতে আবার তাদের মাঝেই বিলিয়ে দেয়া হয়।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে ও পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রায় ৩ শতাধিক শিশুর জন্য এ ঈদের নতুন জামা দেয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি। দুপুরে শহরের মাসদাইরে নিজ কার্যালয়ে এ নতুন জামা দেয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেখানে মাঠে একটি অস্থায়ী দোকান তৈরী করেছেন খোরশেদ। সেই দোকানে সাজানো হয়েছে ৩ শতাধিক নতুন জামা। এর মধ্যে শিশুরা দলে দলে বা বাবাকে নিয়ে এসে উপস্থিত হন। সকলে স্টল ঘুরে নিজের পছন্দের জামা মাত্র ৫ টাকা মূল্যে কিনতে পারছেন। ৫ টাকায় একেবারে নতুন ঈদের জামা পেয়ে আনন্দিত এসব শিশুরা অনেকে সেখানেই নতুন জামা পরিধান করে উৎসাহ প্রকাশ করেন।
জামা পেয়ে ৭ বছরের শিশু আনিকা জানান, আমি এটা এখানে আইসাই পছন্দ করসি। খোরশেদ চাচ্চুর দোকান থেকে ৫ টাকায় কিনসি। আগেরবারও ঈদে আমি ৫ টাকা দিয়া কিনসিলাম এখান থেকে। আমার খুশি খুশি লাগতাসে।
এ আয়োজনের একজন উদ্যোক্তা কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা জানান, আমরা প্রতি বছর এই ওয়ার্ডের দরিদ্র বাচ্চারা যেন সবাই নতুন জামা পড়ে ঈদ করতে পারে সেজন্য এমন আয়োজন করে থাকি। এবারো করেছি। আমরা ৫ টাকা করে তাদের কাছ থেকে নিয়ে থাকি যেন তাকা নিজেদের ছোট মনে না করে। পরবর্তীতে এই ৫ টাকা আবার তাদের মাঝে বিতরণ করে দেই।
কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, শুধু সমাজের সামর্থ্যবানদের সন্তানরা নতুন জামা দিয়ে ঈদ করবে এমনটা যেন মনে না হয় এবং ঈদের আনন্দ যে সবার জন্য তাই সেটি যেন সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ে তাই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ছোট ছোট এসব বাচ্চাদের মুখের এই হাসি দেখার জন্যই আমাদের এ উদ্যোগ।