মুন্সীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় ফল ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত

মুন্সীগঞ্জে পুকুরের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে হাজ্বী শামসুদ্দিন বেপারি (৬০) নামে এক ফল ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত করে গুরুত্বর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। আহত ওই ফল ব্যবসায়ী সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে স্বপরিবারে দেশে এসেছেন। 

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) জুম্মার নামাজের পর সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের পানাম গ্রামের পানাম জান্নাতুল জামে মসজিদের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুত্বর আহত প্রবাস ফেরত হাজ্বী শামসুদ্দিন বেপারি বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার গ্রামের বাড়ি রামপাল ইউনিয়নের জোড়ারদেউল।

জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জের রামপাল ইউনিয়নের পানাম গ্রামের পারিবারিক একটি পুকুর থেকে মাছ ধরা নিয়ে প্রতিবেশী জামাল হোসেন বেপারির ভাতিজা রাকিব হোসেনের সাথে একই গ্রামের সবুজ বেপারির বাক-বিতন্ডার ঘটনা ঘটে। ওই সময় প্রবাস ফেরত ফল ব্যবসায়ী হাজ্বী শামসুদ্দিন বেপারি উভয় পক্ষকে ধমক দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। ঠিক তখনই সুদের ব্যবসায়ী জামাল হোসেন বেপারি, তার ভাতিজা ইদান বেপারি, ফরহাদ বেপারি ও মাহবুব তারা সবাই প্রবাস ফেরত ফল ব্যবসায়ী হাজ্বী শামসুদ্দিন বেপারির উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারধর করে এবং ওই সময় ছুরিকাঘাতে আহত হন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় এলাকার লোকজন আহত ফল ব্যবসায়ী হাজ্বী শামসুদ্দিন বেপারিকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।  

আহত ফল ব্যবসায়ী হাজ্বী শামসুদ্দিন বেপারি এ বিষয়ে বলেন, আমি পানাম জান্নাতুল জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষ করে বের হয়েছি। ওই সময় দেখি মসজিদের বাইরে জামাল হোসেন বেপারির ভাতিজা রাকিব হোসেন বেপারি ও একই গ্রামের সবুজ বেপারির মধ্যে পুকুরের মাছ ধরা নিয়ে বাক-বিতন্ডা চলছে। তখন তারা দুজনেই এ ঘটনায় আমার কাছে বিচার দেয়। ওই সময় হঠাৎ অতর্কিতভাবে জামাল হোসেন বেপারি, ফরহাদ, ইদান ও মাহবুব এসে আমার উপর হামলা চালিয়ে মারধর শুরু করে দেয় এবং আমাকে ছুরিকাঘাত করে। এ ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় শুক্রবার রাতে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। 

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: তারিকুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।