সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুস সরকারকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত ৮ সন্ত্রাসীকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তারা হল- পাবনার বাঙ্গালা পূর্বপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলাম তুষার (২৫), দিনাজপুরের সুজাপুর বানিয়াপাড়া গ্রামের বিশ্বনাথ মহন্ত (৩২) সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার শহিদুল ইসলাম (৪০), শ্রী বলরাম চন্দ্র দাস (৩৮), রহমত আলী (৩৮), শ্রী সুনীল উরাও (৪৫), রহমত আলী (৪৫), উত্তম চন্দ্র দাস (৪০)।
শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ওই উপজেলার ভোগলমান বাজারে নিজস্ব দোকানের ভেতরে বসা অবস্থায় মুখোশধারী আগ্নেয়াস্ত্র বহনকারী ১৪/১৫ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী আ: কুদ্দুস সরকারকে গুলি করে হত্যা করে। এ নির্মম হত্যাকান্ডের পর ওই বাজারে পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির লিফলেট ও সর্বহারা পার্টি জিন্দাবাদ স্লোগান দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা। এ ঘটনায় ২০ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে সংশ্লিষ্ট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের একটি বিশেষ টিম এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে এবং আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ মামলার তদন্ত শুরু করে। শনিবার ভোর রাতে দোগাড়ীয়া ঈদগাহ মাঠ এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ একটি সন্ত্রাসী দল মহড়া দিচ্ছে। এমন গোপন সংবাদে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও তাড়াশ থানার পুলিশ সন্ত্রাসীদের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যর ভিত্তিতে সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দানকারী তাড়াশ থানার দেওঘর গ্রাম থেকে শ্রী সুনীল উরাওকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে, ২০০২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বেলকুচি উপজেলার রান্ধুনিবাড়ী পুলিশ ক্যাম্প থেকে লুট হওয়া ১টি এসএমজি, ১ টি থ্রি-নট থ্রি রাইফেল, ১টি থ্রি নট থ্রি কাটা রাইফেল, ১১ রাউন্ড থ্রি নট থ্রি তাজা গুলি, ১ টি গুলির খোসা, ২ টি চাকু, ১ টি সাউন্ড গ্রেনেড ও ১টি অটো ভ্যান গাড়ী উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করে গ্রেফতারকৃতরা।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বিপিএম (বার), পিপিএম (বার), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো. সামিউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) রেজানুল, ওসি হুমায়ুন কবির, ওসি শহিদুল ইসলাম, ওসি (ডিবি) রওশন আলী, ডিআইও-১ আব্দুর রহিমসহ বিভিন্ন সাংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।