পটুয়াখালীর দুমকীতে বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলাকালে ছাদের পলেস্তারা ও ভীম ধ্বসে কবিতা রানী ও দলিল উদ্দিন নামে দুইজন শিক্ষক আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা ২০ মিনিটের সময় উপজেলার ৫৩ নং পশ্চিম জলিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত দুই শিক্ষককে তাৎক্ষনিক দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে টিনের ঘরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৯৪ সালে টিনের ঘর সরিয়ে পাকা একতলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হয়। ২০২২ সালে জরুরী তহবিল থেকে বরাদ্ধকৃত অর্থ নিয়ে বিদ্যালয়ের মেরামতের কাজ করা হলেও প্রায়ই ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ত। এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে একটি নতুন ভবন বরাদ্ধ হলেও জমিজমা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ভবন নির্মাণ সম্ভব হয়নি। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৭৪ জন শিক্ষার্থ ও ৬ জন শিক্ষক রয়েছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসনেয়া বেগম জানান, শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলছিল হঠাৎ বিকট শব্দ পেয়ে দৌড়ে গিয়ে দেখি প্রথম শ্রেণি কক্ষের ফ্যানসহ ভীম ও পলেস্তারা ধ্বসে নিচে পরে আছে। দুইজন শিক্ষক আহত হয়েছে এবং কোমলমতী শিক্ষার্থীরা ভয়ে ডাক চিৎকার করছে। তাৎক্ষনিক আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করি এবং আহত শিক্ষকদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী মনিরুজ্জামান রিপন বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাকে অবহিত করলে আমি তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান না করে বিকল্প শ্রেণিকক্ষের ব্যবস্থা করে পাঠদান করার পরামর্শ দেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল ইমরান বলেন, বিষয়টি আমি অবহিত হয়েছি। প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিকল্প শ্রেণিকক্ষের ব্যবস্থা করে পাঠদান করার পরামর্শ দিয়েছি।