কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুলিশকে কুপিয়ে অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এ মামলায় অস্ত্রসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের মধ্যে ৭ জন নারী রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) অপু দে বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে আটক করেছিল। সকালে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মো. রাকিব (২০)।
রাকিব চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের হাফালিয়া কাটা এলাকার মোরারপাড়ার আব্দুর রশিদের ছেলে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রাতে এসআই শামীম আল হাসানের নেতৃত্বে কনস্টেবল তরিফুল ও মামুন নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে বরইতলী ইউনিয়নের মহছনিয়াকাটা এলাকায় যান। ওই সময় পাহাড়ী এলাকায় ধারালো অস্ত্র (কিরিচ) হাতে এক ব্যক্তিকে দেখে পুলিশ ওইদিকে যায়। এসময় একদল দেশীয় তৈরী অস্ত্রধারী লোক পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে আহত হন এসআই শামীম, কনস্টেবল তরিফুল ও মামুন। ঘটনার খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালিয়ে লুন্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার করে সন্দেহজনক ১৪ জনকে আটক করেছে। ঘটনায় আহত পুলিশের ৩ সদস্য বর্তমানে শংকামুক্ত রয়েছেন। তবে এখনও চিকিৎসা চলছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, হামলাকারিরা মুলত সংঘবদ্ধ একটি অপরাধি চক্র। তারা কখনও পাহাড়ে, কখনও সরকারি জমি দখল করে অবস্থান করেন। ওখানে বড় ধরণের অপরাধ করে অন্যত্রে সরে যান।