কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় প্রবাস ফেরত মাদকসেবীর ছুরিকাঘাতে আবদুল মালেক (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাদকসেবী বাহারকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের উনোকট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুল মালেক ওই গ্রামের মৃত ফজলুল হকের পুত্র। বৃহস্পতিবার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে মাদক সেবনের জন্য উনকোট গ্রামের প্রবাসী কবির আহম্মেদের পুত্র মাদকাসক্ত বাহার নিহত আবদুল মালেকের দোকানের পিছনে খালি জায়গায় প্রবেশের সময় বাঁধা দেন। এই নিয়ে দুই জনের মধ্যে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এর জেরে বুধবার রাত সাড়ে নয়টার সময় দোকানের সামনে শার্টার নামানোর জন্য দোকান থেকে বের হলে বাহারের সাথে থাকা ছুরি দিয়ে আবদুল মালেকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে। আবদুল মালেক বাঁচার জন্য শোর চিৎকার করলে বাহার পালিয়ে যায়। এ সময় বাজারে থাকা লোকজন এগিয়ে এসে আবদুল মালেককে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উনকোট গ্রামের আবুল কাশেম ও খোরশেদ আলম জানান, বাহার একজন খারাপ স্বভাবের লোক। বিদেশ থেকে আসার পর থেকেই দেখছি সারাক্ষণ মদ গাাঁজায় আসক্ত থাকে। কথায় কথায় লোকজনের সাথে খারাপ আচরণ করে এবং লোকজনকে মারধর করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল হোসাইন অপু জানান, কিছু দিন আগে মাদক সেবনে বাধা দেন নিহত আবদুল মালেক। বুধবার রাতে দোকানে বন্ধ করার সময় এলাকার চিহ্নিত মাদকাসক্ত বাহার সাথে থাকা ছুরি দিয়ে আকস্মিকভাবে আবদুল মালেককে ছুরিকাঘাত করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রবিউল হোসেন জানান, বুধবার রাতে আবদুল মালেক নামে এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের গভীর ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, পুলিশ হাসপাতাল থেকে রাতে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত বাহারকে আটক করেছে পুলিশ।