নারায়ণগঞ্জে গণধর্ষণের পরিকল্পনাকারী চক্রের মূলহোতা গ্রেফতার

প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৪৭ | অনলাইন সংস্করণ

  নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম নাসিম উসমান ৩য় শীতলক্ষ্যা সেতু টোল প্লাজা এলাকায় বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) অভিযান পরিচালনা করে নির্জন বিলে মুখ ও হাত-পা বেঁধে নারীকে গণধর্ষণের পর লুটপাটের ঘটনার পরিকল্পনাকারী চক্রের মূলহোতা ১নং আসামী আকাশকে (২২) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১ এর একটি টিম। গ্রেফতারকৃত আকাশ বন্দরের দড়িসোনাকান্দা হক সাহেবের বাড়ীর গলি এলাকার আইয়ুব আলীর পুত্র। 

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে র‌্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারী ভিকটিম (২৬) বান্ধবীর বাসায় বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। পথিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন হাজিপুর ট্রেনিং সেন্টারের সামনে গ্রেফতারকৃত আসামী আকাশ (২২) ও তার সঙ্গীয় অন্যান্য এজাহারনামীয় পলাতক আসামীদের সহায়তায় ভিকটিমকে পথরোধ করে মুখ চেপে ধরে এবং হাত-পা বেঁধে পার্শ্ববর্তী নির্জন বিলে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে ভিকটিমকে (২৬) জোরপূর্বক গ্রেফতারকৃত আসামী আকাশ (২২) সহ তার সঙ্গীয় অন্যান্য সহযোগী আসামীরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ভিকটিমের সাথে থাকা মূল্যবান স্বর্নালংকার, স্মার্ট মোবাইল ফোনসহ টাকা-পয়সা লুটপাট করে নেয়। অতঃপর গ্রেফতারকৃত আসামী আকাশ (২২) ও সঙ্গীয় অন্যান্য এজাহারনামীয় পলাতক আসামীরা ভিকটিমকে উক্ত ঘটনার কথা প্রকাশ না করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি প্রদর্শণসহ হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম (২৬) নিজে বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা (নং ৩২) দায়ের করে। উক্ত গণধর্ষণের পর হতে গ্রেফতারকৃত গণধর্ষণকারী চক্রের মূলহোতা আসামী আকাশ (২২) সহ তার সঙ্গীয় অন্যান্য এজাহারনামীয় পলাতক আসামীরা কৌশলে আত্মগোপনে থাকে। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১১, সিপিএসসি, নারায়ণগঞ্জ এর একটি চৌকস গোয়েন্দা দল উক্ত চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার আসামীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য গোয়েন্দা অনুসন্ধান শুরু করে এবং মামলার মূলহোতা ১নং আসামী আকাশ (২২)’কে  গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী আকাশ (২২) বর্ণিত চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণের মূল পরিকল্পনাকারী বলে স্বীকার করে। এই মামলার অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীকে বন্দর থানার অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।