ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএন’র অভিযান, নারীসহ গ্রেফতার ৪

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএন’র অভিযান, নারীসহ গ্রেফতার ৪

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, গোলাবারুদসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (১৪ এপিবিএন) সদস্যরা। গ্রেফতারকৃতদের মাঝে দুজন নারীও রয়েছেন।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) ভোরে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৭ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার ও আগ্নেয়াস্ত্রগুলো জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ডিআইজি (এফডিএমএন) মো. জামিল হাসান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ক্যাম্প-২ এর বি-ডাব্লিউ ব্লকের মৃত মোহাম্মদ সৈয়দের ছেলে মো. জোবায়ের (২০), ক্যাম্প-৬ এর ডি-৮ ব্লকের মৃত কামাল হোসেনের ছেলে নুর মোহাম্মদ (২৫), ক্যাম্প-৫ এর ডি-৮ ব্লকের জোবায়ের আহমদের মেয়ে মোসা বিবি (১৬) ও মৃত সালেহ আহমদের স্ত্রী জামিলা বেগম (৪৮)।

এসময় তাদের থেকে ৪টি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটারগান, ৩০টি চায়না রাইফেলের গুলি, ২৭টি পিস্তলের গুলি, ৫টি শটগানের কার্তুজ, ৩টি খালি ম্যাগজিন, ৪টি ওয়াকিটকি, ৫টি মোবাইল ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার দুপুরে ১৪ এপিবিএন কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অভিযানের সবিশেষ উল্লেখ করে ডিআইজি জামিল হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে এপিবিএনের কাছে খবর আসে ক্যাম্প-৭ এ সন্ত্রাসী ছমি উদ্দিনের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন সংঘবদ্ধ হয়ে অপরাধ সংঘটনের পরিকল্পনা করছে। সংবাদ পেয়ে ক্যাম্পে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে টহল জোরদার করা হয়। ঘটনাস্থলে এপিবিএন সদস্যরা উপস্থিত হলে তাদের লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুঁড়ে। সরকারি সম্পদ রক্ষা ও আত্নরক্ষার্থে এপিবিএন সদস্যরাও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। গুলাগুলির এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া যায়। একই ঘটনার সূত্র ধরে সন্ত্রাসীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে রাতভর গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির মাধ্যমে অভিযান চালানো হয়। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৭টায় সন্ত্রাসী ছমি উদ্দিন দলবলসহ ক্যাম্প-৫ এর একটি ঘরে অবস্থানের খবরে সেখানে অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এপিবিএন। এসময় ছমি উদ্দিনসহ আরো অনেকে পালিয়ে যায়। এসময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

ক্যাম্পে তল্লাশি চৌকি থাকার পরেও কিভাবে অস্ত্র-মাদক ক্যাম্পে প্রবেশ করে এমন প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি জামিল বলেন, আমরা সবসময় চেষ্টা করি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে। ক্যাম্পের বিভিন্ন জায়গায় কৌশলে রোহিঙ্গারা কাটাতারের বেড়া কেটে বাইরে চলে যায়। অন্যদিকে, বিভিন্ন এনজিও সংস্থার বিতরণ কেন্দ্র ক্যাম্পের বাইরে হওয়ায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা আসা যাওয়া করে। এর ফাঁকে বের হওয়ার সুযোগ পায়। তবে তল্লাশি চৌকিতে বিভিন্ন সময় মাদক, অস্ত্র জব্দ করতে সক্ষম হওয়ার নজির রয়েছে।

ব্রিফিংয়ে ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক সৈয়দ হারুন অর রশীদ, ৮ এপিবিএন অধিনায়ক আমির জাফরসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প,অভিযান,গ্রেফতার
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত