টাঙ্গাইলে বিয়ের দাবিতে সাইফুল ইসলাম বাবু নামের এক প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে প্রেমিকা। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে প্রেমিকা ওই প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেন। সাইফুল ইসলাম সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের কলেজপাড়া এলাকার মনোয়ার হোসেনের ছেলে।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন করটিয়া ইউনিয়নের স্থানীয় মেম্বার শাহীন মিয়া।
ইউপি সদস্য শাহীন জানান, শুক্রবার সকাল ৮ টার দিকে টাঙ্গাইল পৌর শহরের আকুর টাকুর পাড়ার রেশমা নামের একটি মেয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সাইফুল ইসলাম বাবুদের বাড়িতে ওঠেন। সংবাদ পেয়ে আমি বিষয়টি মিমাংসা করতে যাই। রাত অবধি ওই বাড়িতে অবস্থান করলেও কোন মিমাংসা করতে পারেননি। পওে মেয়েটিকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে চলে আসেন। প্রেমিক বাবু বাড়িতে অবস্থান করছেন বলেও জানান তিনি।
প্রেমিকা জানায়, তিনি আর সাইফুল ইসলাম বাবু একত্রে টাঙ্গাইল 'ল' কলেজে আইন বিভাগে পড়ালেখা করতেন। এক বছর যাবত তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। বিয়ের প্রলোভনে সাইফুল তার সর্বশ্ব লুটে এখন বিয়ে করতে অস্বীকার করছে। তার পরিবারও এ সম্পর্ক মানতে নারাজ। তাই বাধ্য হয়ে তিনি বাবুর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। বিয়ে না করলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিবেন বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, প্রেমিকার বয়স ৩৫ বছর আর প্রেমিকের বয়স সর্বোচ্চ ২৫ বছর। অসম প্রেমের সম্পর্কটি সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এরপরও তারা এলাকার মান সম্মান রক্ষায় ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান প্রত্যাশা করেন।
টাঙ্গাইল জজকোর্টের এ্যসিষ্ট্যান পাবলিক প্রসিকিউর (এ.পি.পি) ও প্রতিবেশি অনিতা সরকার জানান, শুক্রবার মেয়েটি বিয়ের দাবিতে আমার প্রতিবেশি বাবুদের বাড়িতে উঠেছেন। এখনও সেখানে অবস্থান করছেন। প্রেমিক সম্পর্কের কথা অস্বীকার করলেও প্রেমিকা অনৈতিক সম্পর্ক সৃষ্টি হওয়ার কথা জানিয়েছেন। কোন প্রমাণ না থাকায় কোন সমাধান হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে মিমাংসার চেষ্টা চলছে। তবে প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত প্রেমিক সাইফুল ইসলাম বাবু।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস ছালাম মিয়া জানান, এ নিয়ে ওই নারী এখনও থানায় কোনও অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।