কুড়িগ্রামে প্রশ্নফাঁস রোধে কঠোর নিরাপত্তা ও সিসি ক্যামেরার আওতায় ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র

প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১৫:৫৮ | অনলাইন সংস্করণ

  মাহফুজ খন্দকার, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন এবারের এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গত বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হওয়ায় এবারে তা রোধ করতে অত্যন্ত কঠোর সতর্কতামূলক অবস্থানে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। 

৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২-৩ স্তরের নিরাপত্তার পাশাপাশি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থাও থাকবে। কোনভাবেই এবার পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনসহ কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সুযোগ থাকবেনা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি প্রয়োজনে কোথাও কোথাও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ ।

গত বছর এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এতে কুড়িগ্রাম জেলা সারাদেশে প্রশ্ন ফাঁসের চিহ্নিত জোন হিসেবে উঠে আসে। আর বিষয়টি দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সকলের নজরে আসে। পড়তে হয় বিব্রত পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসনকে। 

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এবারে জেলায় ২২ হাজার ৬৯০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে এসএসসিতে ২০ হাজার ৭৭৯ এবং ভোকেশনাল ও দাখিল পর্যায়ে এক হাজার ৯১১ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছে। জেলার ৯ উপজেলার ৪৬টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৯ উপজেলার ৩৪টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা এবং ১২টি কেন্দ্রে ভোকেশনাল ও দাখিল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। 

প্রশ্নফাঁস রোধে সতর্কতা হিসেবে জেলা প্রশাসন থেকে ৯ উপজেলায় ৩টি টিম কাজ করবে। এ টিমে তিনজন এডিসি পর্যায়ের কর্মকর্তাকে নকলমুক্ত রাখতে ও মনিটরিং করতে কেন্দ্রসমুহ পরিদর্শনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিনহাজুল ইসলামকে সদর, রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট খন্দকার মোদাসসের বিন আলীকে প্রশ্নফাঁস হওয়া উপজেলা ভূরুঙ্গামারী, চিলমারী ও নাগেশ্বরীতে এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) উত্তম কুমারকে রৌমারী, চর রাজিবপুর ও ফুলবাড়ি উপজেলার দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। 

গত বছর প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় এ বছর সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে জেলা প্রশাসন। সে লক্ষ্যে জেলার সকল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারিও বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট খন্দকার মোদাসসের বিন আলী বলেন, আমি তিন উপজেলার মনিটরিং এর দায়িত্বে থাকলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা কাজ করবেন সার্বক্ষণিক। আশা করি কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার সুযোগ থাকবেনা। এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।