টাঙ্গাইলের সখীপুরে অবৈধ ট্রাফি ট্রাক্টরের চাপায় নাসরিন আক্তার (৪০) নামের এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১ মে) সকালে উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের জিতাশ্বরী দক্ষিণপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গৃহবধূ নাসরিন ওই গ্রামের জামাল বাদশার স্ত্রী। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে ৬ লাখ টাকায় রফাদফা হয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার মহানন্দপুর গ্রামের মনির হোসেন এবং জিতাশ্বরী গ্রামের ফারুক নিষিদ্ধ ট্রাফি ট্রাক্টর দিয়ে মাটির ব্যবসা করে আসছিলেন। সোমবার সকালে ওই গ্রামের জামাল বাদশার বাড়িতে অবৈধ ট্রাফি ট্রাক্টর দিয়ে মাটি ফেলে। এক পর্যায়ে মাটি বোঝাই ট্রাক্টরটি গৃহবধূ নাসরিন আক্তারকে চাপা দেয়। এ সময় তাঁর মাথা থেতলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। এর পরেই ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক ভুক্তভোগী পরিবারকে ঘটনা প্রকাশ না করতে বাধ্য করেন। এজন্য ৬ লাখ টাকায় রফাদফা করা হয়।
এ ব্যাপারে নিহত গৃহবধূর ছেলে হৃদয় মিয়া জানান, আমরা যাতে মামলার ঝামেলায় না যাই সেজন্য মেম্বার সাহেবসহ স্থানীয় মাতব্বররা বসে ৬ লাখ টাকা আমাদের দিবে বলে সিদ্ধান্ত করেছে। কিন্তু এখনো কোন টাকা হাতে পাইনি।
এ প্রসঙ্গে ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হকের সঙ্গে কথা বলতে ফোন করা হলে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
মাটি ব্যবসায়ী মনির হোসেন বলেন, মেম্বার ও স্থানীয় মাতব্বরদের সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিয়েছি।
সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক সিদ্দিক হোসেন বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনাগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, এর আগেও শিরির চালা গ্রামে একটি ধর্ষণসহ কয়েকটি ঘটনায় টাকার বিনিময়ে রফাদফা করেছিলেন ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক।